আসন্ন হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে বেসরকারি এজেন্সিকে সর্বনিম্ন কোটা ১০০ নির্ধারণসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে হজ এজেন্সি মালিকবৃন্দের ব্যানারে ‘হজ ২০২৫ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
এ সময় হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরোয়ার দাবিগুলো উত্থাপন করে লিখিত দাবি পাঠ করেন।
এসময় হজ এজেন্সি মালিকদের পক্ষে থেকে গত ২৬ ডিসেম্বর নিবন্ধনের ব্যাংক ভাউচার করার যে শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছিলো, ভাউচার করা সাড়ে তিন হাজার হজ যাত্রীর সেই সব ভাউচার গ্রহণ করার সময় বৃদ্ধির দাবিও জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর, সুষ্ঠু, সুশৃ্ঙ্খল ও নিরবিচ্ছিন্ন এবং নির্বিঘ্নে প্রতিপালনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বর্তামনে হজ এজেন্সি প্রতি ৫০০ হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করা হয়ে, এতে হজ যাত্রীদের সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই কোটা পুনঃনির্ধারণের দাবি জানাই।
হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, সুশৃ্ঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ হাজিগণ বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় হজ পালনে যায়, তাদের সেবাদানের জন্য এজেন্সি প্রতি ১০০ জনের কোটা নির্ধারণ করা সময়ের যৌক্তিক বলে মনে করি। সরকারের সর্বশেষ হজনীতি অনুযায়ী এজেন্সী প্রতি সর্বনিম্ন কোটা ১০০ ও সবোর্চ্চ ৩০০ নির্ধারিত আছে, পরে তা কোটা ৫০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিপুল এই সংখ্যা সুশৃ্ঙ্খল ও সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়। তাই কোটা ১০০ করা অথবা গত বছরের ন্যায় ২৫০ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
হজ এজেন্সি মালিকদের ১৩ দফা দাবিগুলো হলো:
>> হজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতো হজ এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজযাত্রী কোটা সর্বনিম্ন ১০০ অনধিক ২৫০ করা।
>> লিড এজেন্সির সঙ্গে লিড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যৌক্তিক সময় বৃদ্ধি করতে হবে।
>> লিড এজেন্সীর মোনাজ্জেমদের জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছরের মাল্টিপল ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে।
>> প্রতি ৪০ জন হজযাত্রীর জন্য একজন গাইড নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে হজযাত্রীর সেবা ও হজ ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল ও সুন্দর হবে।
>> আগামী ২০২৫ হজ ব্যবস্থাকে সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি এজেন্সীকে ১টি বারকোড বা মিশন ভিসা প্রদান করতে হবে।
>> গত ২৬ ডিসেম্বর নিবন্ধনের ব্যাংক ভাউচার করা হয়েছিল, সেই সব ভাউচার গ্রহণ করার জন্য সময় বৃদ্ধি ও প্রায় সাড়ে তিন হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পবিত্র হজ পালনের সুযোগ দেওয়ার দাবি করছি।
>> বাড়িভাড়া করার সময়সূচির আগে ফাইনাল ফ্লাইট সিডিউল ঘোষণা করা এবং সব হজযাত্রীদের টিকেট নিশ্চিত করা।
>> বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য চুক্তি করার সময় পবিত্র রমজান পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
>> ভিসা ইস্যুর সময় সর্বশেষ হজ ফ্লাইটের এক সপ্তাহ পূর্ব পর্যন্ত চালু রাখা।
>> ইতোমধ্যে এজেন্সির একাউন্ট হতে সৌদি পর্বের খরচ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। অথচ সৌদি পর্বের খাতওয়ারী খরচের হিসাব অফিসিয়ালি এখনো অবহিত করা হয়নি। এমতাবস্থায় কিভাবে এজেন্সী বাড়িভাড়া করবে। অনতিবিলম্বে সৌদি পর্বের খরচ অবহিত করা।
>> লিড এজেন্সি নিয়োগের বিধি সংশোধন করে ‘হাহি যার-দায় তার’ বিধান সংযোজন করা অতীব জরুরি।
>> মুয়াল্লিমের মাধ্যমে বাড়িভাড়া ও খানা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করে পূর্বের ন্যায় বহাল রাখা একান্ত প্রয়োজন।
>> মাশায়ের কোম্পানি গ্রহণ করার সময় ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
কেএল/