|| হাসান আল মাহমুদ ||
মসজিদে তাবলিগ জামাতের শবগুজারি (রাত্রিযাপন) কার্যক্রম পরিচালনা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন এ নির্দেশনা কাকরাইল মসজিদ নিয়ে নয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মূলধারার তাবলিগ জামাত শূরায়ি নেজাম।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান আওয়ার ইসলামকে বলেন, সরকারের নতুন এ নির্দেশনা নিয়ে সাদপন্থীরা প্রচার করছে যে, এটা কাকরাইল মসজিদসহ সকল মসজিদের ব্যাপারে এ নির্দেশনা, তা ভুল প্রচার করছে।
তিনি জানান, আমরা যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি, কাকরাইল মসজিদের বিষয়ে আগের নির্দেশনাই বহাল আছে। সরকারের নতুন এ নির্দেশনা কাকরাইল মসজিদ নিয়ে নয়, বরং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কিছু কিছু মসজিদে সমস্যার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে খবর যাওয়ায় সেসব মসজিদের ব্যাপারে এ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
এর আগে রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের (শূরায়ি নেজাম) ও মাওলানা সা'দ এঁর অনুসারীগণ পূর্ব হতে জেলা ও উপজেলায় যে সকল মসজিদে নিজ নিজ তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিবদমান পক্ষদ্বয় সংশ্লিষ্ট মসজিদে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
পড়ুন: কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ডিসেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দিল্লির মাওলানা সাদের বাংলাদেশি অনুসারীদের হামলায় চারজন মুসল্লি নিহত হন। আহত হন আরও ৪০-৫০ জন।
এরপর ২৬ ডিসেম্বর তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সাদপন্থী হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাদের অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদে সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় সরকার। একই সঙ্গে অন্য পক্ষকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে বড় জমায়েত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
আদেশে বলা হয়, আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার কাকরাইল মসজিদের আশপাশে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরের (শূরায়ি নেজাম) অনুসারীদের কোনো রকমের বড় জমায়েত হতে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সাদপন্থীদের কার্যক্রম হতে বিরত থাকার কথা জানিয়ে বলা হয়, তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদের আগামীকাল (২৭ ডিসেম্বর) শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
হাআমা/