|| হাসান আল মাহমুদ ||
জনপ্রিয় শিল্পীগোষ্ঠী কলরবের আহনাফ খালিদ লাইফ সাপোর্টে আছেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর শান্তিবাগে বি এন কে হসপিটাল লিঃ-এ ভর্তি আছেন।
আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ার ইসলামকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলরবের নির্বাহী পরিচালক শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান।
তিনি জানান, খালিদ এখন সর্বোচ্চ ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে আছে। লাইফ সাপোর্টে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে বেঁচে আছে। তার সর্বোচ্চ ট্রিটমেন্ট কার্যক্রম চলছে। এখানে পুরো কলরব টিমসহ আমাদের অনেক আপনজন তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করে যাচ্ছে।
এদিকে আহনাফ খালিদের সুস্থতার জন্য শুরু থেকেই দৌঁড়ঝাঁপ করে যাচ্ছে কলরব পরিবার। হাসপাতালে ছুটাছুটিসহ নানা ব্যস্তসময় পার করছেন তারা। চারটি টিমে ভাগ হয়ে তারা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার অবস্থা এতোটাই ক্রিটিক্যাল যে তাকে স্থানান্তর করাই সম্ভব না বলেও জানান তারা। দেশবাসীর কাছে চেয়েছেন বিশেষ দোয়া।
কলরবের পরিচালক শিল্পী সাঈদ আহমাদ জানান, আহনাফ খালিদ মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থায় আছে। তার রিপোর্ট দেখে সব ডাক্তাররা হতাশ! কিন্তু আমরা হতাশ হবোনা। কারণ আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন বান্দাকে হতাশ করেননা। যেখানে বান্দার চেষ্টা শেষ সেখানে আল্লাহর দয়া শুরু।
তিনি আরও জানান, আমি তার জন্য সালাতুল হাজাত আদায় করে দুআ করেছি, মাদরাসার ছাত্রদের কুরআন খতমের কথা বলেছি।
এসময় তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রিয় ভাই বন্ধুরা! মাগরিবের নামাজের পর অন্তত ২ রাকাত সালাতুল হাজাত পড়ে খালিদের জন্য দুআর দরখাস্ত রইলো । দুআই একমাত্র সম্বল যা পারে খালিদকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে।
কলরবের নির্বাহী পরিচালক শিল্পী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, প্রিয় ভাই আহনাফ খালিদ। তোমার জন্য সারাদেশের মানুষ দোয়া করছে, কান্না করছে। তুমি ফিরে আসো ভাই। আল্লাহ ফিরিয়ে দাও।
তিনি জানান, সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেলের সর্বোচ্চ অথরিটি, নিউরোসাইন্সের সর্বোচ্চ অথরিটির কাছে তার কেস সামারি নিয়ে আলাপ করার পর তাদের মন্তব্য আমাদের চোখের পানি এনেছে বারবার, আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে ফরিয়াদ করছি খালিদকে বাঁচিয়ে দিন আল্লাহ। আপনাদের কাছেও আমরা দোয়া চাচ্ছি। এই হাসিমুখ ছেলেটাকে আল্লাহ যেন বাঁচিয়ে দেন। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তায়ালা খালিদকে বাঁচিয়ে দেবেন।
কলেরবের জনপ্রিয় শিল্পী আবু রায়হান বলেন, আমাদের আহনাফ খালিদের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। লাইফ সাপোর্টে আছে ছেলেটা। ওর কেস সামারিটা পড়লাম। সব বুঝি নাই। যেটুকু বুঝেছি তাতেই ডাক্তারদের আশংকায় আমার বুক কেঁপে উঠছে। আইসিইউতে ওরে দেখার পর ভেতরটা দুমরে মুচরে গেছে , নিজেকে সামলাতে কষ্ট হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিচিত, বন্ধু বান্ধব যেখানে যারা আছে সবার কাছে চেষ্টা করতেছি আমরা। ওর উন্নত ট্রিটমেন্ট লাগবে। নিউরোসাইন্স, ঢাকা মেডিকেল, পিজি হসপিটাল কোথাও না কোথাও ওর জন্য লাইফ সাপোর্ট আইসিইউ লাগবে। এজন্য পুরো কলরব টিমসহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা অনেকগুলো মানুষ।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে তিনি অনুরোধ করেন, খালিদ আমাদের খুবই আদরের। আল্লাহ ওরে ফিরিয়ে দিক। এই দোয়া করি এখন খুব। সবাই বেশি বেশি দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, আহনাফ খালিদ গত রাতে জামালপুরে প্রোগ্রাম শেষ করে শেষ রাতে ঢাকা ফিরে টিম থেকে আলাদা হয়ে আনুমানিক ৪ টার দিকে বাইকে করে একা সে বাসায় ফিরছিলো। বাইকেই তার একসিডেন্ট হয়েছে বলে ধারণা। শনির আখড়া থেকে সাইনবোর্ড এই জায়গার মধ্যে তার একসিডেন্টটা হয়েছে। তখন তার সাথে কেউ ছিলো না। একসিডেন্টের পর তখনই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ইমার্জেন্সি থেকে বলা হয়েছে খালিদকে দ্রুত লাইফ সাপোর্টে না নিলে বড় কিছু হয়ে যাবে।
হাআমা/