সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ২২ পৌষ ১৪৩১ ।। ৬ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘দেওবন্দের মূলনীতির ওপর যতোদিন থাকবে, ততোদিন পথ হারাবে না বেফাক’ রাষ্ট্র ও রাজনীতি নিয়ে বই লিখেছেন মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ইসলামপন্থিদের অবদান অস্বীকারকারীরা ফ্যাসিবাদের দোসর’ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব নির্বাচনে ২২ জন প্রার্থীর ১৫টি পদে মনোনয়নপত্র জমা ময়মনসিংহে ইসলামী বইমেলায় অর্ধ কোটি টাকার বই বিক্রি ভারতে পালানোর সময় হিলি ইমিগ্রেশনে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার দ্বীনের পথে অবিচল থাকার দোয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম, সম্পাদক আলী ‘চাঁদাবাজী-দখলবাজী করে জুলাই আগস্টের বিপ্লবকে কলঙ্কিত করার পায়তারা চলছে’ খাগড়াছড়ি বায়তুল করিম মাদরাসায় সবক প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি: শায়েখ নেছার আহমাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী। ছবি: আওয়ার ইসলাম গ্রাফিক্স

|| হাসান আল মাহমুদ ||

আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের হিফজুল কুরআনে বারবার বিশ্বজয়ী প্রতিষ্ঠান মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী।

তিনি বলেন, আবাসিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সপরিবারে থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি।

আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ) আওয়ার ইসলামের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেন।

আবাসিক শিক্ষকদের স্বপরিবারে থাকার ব্যবস্থা রাখলে তার কল্যাণ কী হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এতে করে শিক্ষকদের ছুটি দেওয়ার ঝামেলা কমবে। বেতন বাড়ানোর চাপ কমবে। শিক্ষক চলে যাওয়ার ভয় কমবে। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকবে না। প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ও তেমন বাড়বে না।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের এ সুবিধা দিলে তাদের মন ভালো থাকবে। তারা মাদরাসাকে নিজেদের মনে করবেন। নিজের মত করে পড়াবেন। চাকরি হারানোর ভয়ও থাকবে না।

আবসিক ব্যবস্থাপনাকে স্বাস্থ্যসম্মত করার গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ছব্বিশ ঘন্টা থাকবে, তাদের অজু-গোসল, ইস্তিঞ্জার জায়গা পরিচ্ছন্ন রাখা চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। তাদের বাসস্থান, খাবার অবশ্যই যেন স্বাস্থ্যসম্মত হয়।

শিক্ষকদের বেতনের একটা স্কেল নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

বিশ্বজয় করা হাফেজদের মেধাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক হাফেজ গড়ার এই কারিগড় বলেন, আমাদের দেশের হিফজ শিক্ষার মান সারা বিশ্বে প্রথমে রয়েছে, আলহামুলিল্লাহ! সেই হিসেবে এটি দেশের জন্য বিশাল সুনামের বিষয় এবং এটি কওমি অঙ্গনের জন্য বিশাল বড় সফলতা। যারা বিশ্বজয় করবে তাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি বা আমাদের কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকের পক্ষ থেকেও কোন ফ্লাট ফরম নেই, যার কারণে বিশ্বজয় করা এই হাফেজরা বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান, আমাদের হারাতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেধাবীদের।

তিনি বলেন, সরকারিভাবেও দেশের স্বার্থে তাদের জন্য কিছু করা উচিত বলে আমি মনে করি।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ