আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্তকে হোয়াইটওয়াশ হিসেবে বর্ণনা করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে দেশটিতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থার সদস্যদের পর্যবেক্ষণের অবাধ সুযোগদানের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জেমস গোমেজ এক বিবৃতিতে বলেন, গত কয়েক মাসে ৬ লাখের বেশি নারী, পুরুষ ও শিশু প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সহিংসতার তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের জবাবে তিনি বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুনরায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া ক্রমবর্ধমান বিপর্যয়ের ছবি বিশ্লেষণ করে অগণিত ভয়ঙ্কর ঘটনার বিবরণ পাওয়ার পরে ‘আমরা একটি মাত্র উপসংহার টানতে পারি এই হামলা মানবতার বিরুদ্ধে সীমাহীন অপরাধ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, যতক্ষণ জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এবং অন্যান্য স্বাধীন সংস্থার পর্যবেক্ষকরা বিষয়টি তদন্তে মিয়ানমারে অবাধ সুযোগ না পাবে ততক্ষণে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতি গোষ্ঠির ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিষয়টির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কোন ইচ্ছা নেই। দেশটি যাতে এই ভয়াবহ নির্যাতন ও নৃশংসতার অপরাধের শাস্তি এড়াতে না পারে, সেজন্য আন্তর্জাতিক মহলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।