রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শায়খুল হাদিস এবং দেশের অন্যতম প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। তিনি প্রতিষ্ঠানটির শুরুলগ্ন থেকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বারিধারা মাদরাসা থেকে ইস্তফা দেন বলে একাধিক সূত্রে আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছে।
বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুনির কাসেমীও এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে তিনি বারিধারা ছেড়েছেন সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।
মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক উত্তরার জামিয়াতুন নুর আল-কাসিমিয়্যায় স্থায়ী শায়খুল হাদিস পদে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বিগত শতকের আশির দশকের গোড়ার দিকে যাদের নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন তাদের একজন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। প্রথমে রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা, পরে মালিবাগ মাদরাসা হয়ে মেধাবী আলেমদের যে কাফেলা বারিধারা মাদরাসা গড়ে তোলেন তাদের একজন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। দেশে-বিদেশে তার বিপুলসংখ্যক ছাত্র রয়েছে। তার হাতেগড়া অনেক ছাত্র এখন শায়খুল হাদিস ও মুহাদ্দিস পদে বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত আছেন।
মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ইন্তেকালের পর থেকেই বারিধারা মাদরাসায় নানা অস্থিরতা চলছিল। এর জেরে মাদরাসাটির সাবেক মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী বারিধারা থেকে বিদায় নিয়ে উত্তরায় জামিয়াতুন নুর আল-কাসিমিয়্যা প্রতিষ্ঠা করেন। এবার সেখানে গেলেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকও।
মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক প্রবীণ মুহাদ্দিসের পাশাপাশি ইসলামি রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির। তিনি সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচন করেছেন।
নারনা/