ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, আধুনিক ভারত রাষ্ট্র গঠন হওয়া এমনকি ভারতে হিন্দুত্ববাদের বিকাশের আগেই ওয়াকফের প্রচলন ছিলো। ভারতসহ এই অঞ্চলের শিক্ষা ও নাগরিক সমাজ গড়েই উঠেছে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে। সভ্যতা বিকাশের সেই ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে বিজেপি সরকার অন্যায্য ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশিভূত হয়ে বিকৃত করে ভারত জুড়ে মুসলিম নিধনের নতুন উপলক্ষ তৈরি করেছে। বিজেপি সরকার ভারতকে যে ভয়ংকর পংকিলতায় নিমজ্জিত করছে তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত এটা।
আজ ১৩ এপ্রিল, রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেছেন।
মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ভারতের প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। ভারত ৭১ সালে আমাদের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকে যখন ভারতে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই সরকারকে বলবো, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে ভারতকে কঠোর বার্তা দিন। নিরীহ মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তার প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে আহবান করুন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, বিজেপি সরকার এই অঞ্চলে তো বটেই এমনকি ভারতের নাগরিকদের জন্যও আগ্রাসী ও হানাদার শক্তি হয়ে উঠেছে। নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে একেরপর এক চক্রান্ত এবং তাদের নিপীড়নে হিংস্র হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়া কেবলমাত্র উপনিবেশিক শাসকদের পক্ষেই সম্ভব। বিজেপি ভারতের জন্যই উপনিবেশিক চরিত্র ধারণ করেছে। তাই ভারতের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক সমাজের প্রতি আহবান করবো, ভারতের অস্তিত্ব রক্ষায় মোদি ও তার সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ দেশের মিডিয়ার প্রতি আহবান রেখে বলেন, বিজিপি ও মোদি মিডিয়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে মর্মে অবিরাম মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। অথচ তাদের দেশেই মানুষ কেবল ধর্মের কারণ নৃসংশতার শিকার হচ্ছে। মানবতার স্বার্থেই এগুলো তুলে ধরুন। বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতে সহায়তা করুন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
এমএইচ/