রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ২০ পৌষ ১৪৩১ ।। ৫ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল বেফাকের মজলিসে শূরার বৈঠক সেভেন সিস্টার্সকে বাঁচাতে ভারত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে: সারজিস ইসলামে নারী শিক্ষার বিকল্প নেই: মাওলানা আব্দুর রহীম ইসলামাবাদী ‘ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে ইসলামী ব্যাংককে শেষ করে দিয়েছে’ কুরআন ও হাদিসের আলোকে মাহে রজবের ফজিলত ও বিধান বরিশালে ৩ দিন ব্যাপী নূরানী মুআল্লিমদের জোড় ১৪ জানুয়ারি প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলেশন নিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা নতুন শিক্ষাবর্ষের সকল পাঠ্যপুস্তক নিরীক্ষণ করবে খেলাফত আন্দোলন সাদপন্থীদের বিচার দাবিতে ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ ‘হাতে রক্তের দাগ নিয়ে সাদপন্থীদের ইজতেমা করার অধিকার নেই’

অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অবশেষে বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ৪ মে বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে তাঁকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে এবং এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে তাঁর ঢাকায় আগমনের তারিখ থেকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে আসছিল। উপদেষ্টা পরিষদ প্রত্যাশা অনুযায়ী এ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবার ঢাকায় আনা হয়। তাঁর বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এরপর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। একুশে পদক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অন্যান্য ব্যক্তির সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামকে সম্মানসূচক ডি–লিট উপাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) এক সমাবর্তন উৎসবে এ উপাধি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অসুস্থতার জন্য তাঁকে এ উৎসবে আনা সম্ভব হয়নি। পরে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গভবনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামকে ডি–লিট উপাধিতে ভূষিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী নজরুলের উদ্দেশে একটি মানপত্রও পাঠ করেন।

কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ