সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


আল্লাহ তায়ালা অহঙ্কারীদের পছন্দ করেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী


আল্লাহ তায়ালা অহঙ্কারীদের পছন্দ করেন না। দাম্ভিকতা ও অহঙ্কার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পছন্দ করেন না। যে আনন্দ ও উল্লাস মানুষকে দম্ভ ও অহঙ্কারের সীমা পর্যন্ত পৌঁছায় তাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনের সূরা আল-কাসাস ইরশাদ করেন, ‘ওই পরকাল আমি তাদের জন্য নির্ধারিত করি, যারা দুনিয়ার বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ ও অনর্থ সৃষ্টিকরতে চায় না। আর শুভ পরিণাম আল্লাহ ভীরুদের জন্য’। 

আর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন, মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন, কোন মানুষ যদি এমন হয় যে, সে চায় তার বস্ত্র উত্তম হোক, তার জুতো সুন্দর হোক তাহলে এটাকি অহঙ্কার ? জবাবে মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সুন্দর। তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। অহঙ্কার মানে সত্যকে অস্বীকারকরা এবং অন্য মানুষকে তুচ্ছ করা’। 

দুই.
বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত অন্য এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, পূর্ব যুগে একজন লোকছিল, সে উন্নত মানের এক সেট কাপড় পরিধান করে পথ চলছিল। তাকে আত্মম্ভরিতায় নিমজ্জিত করেছিল। মাথা ছিল চিরুনীকৃত, সে পথ চলছিল দাম্ভিকতার সাথে। ঠিক সেই মূহুর্তে আকস্মিক আল্লাহ তায়ালা তাকে ভূমিতে দাবিয়ে দিলেন। লোকটি কিয়ামত পর্যন্ত মাটিতে ধসতেই থাকবে, ধসতেই থাকবে। (বুখারী ও মুসলিম)


এছাড়া হজরত আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত -তিনি বলেন, আমি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদের জাহান্নামবাসীদের সম্পর্কে অবগত করাব যে, তারা কারা হবে? তারা হবে প্রত্যেকই কঠোর স্বভাবী, দুশ্চিরিত্র ও অহঙ্কারী। বুখারি ও মুসলিম

আল্লাহ তায়ালা আমাদের অহঙ্কার থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দানকরুন। আমিন

 

লেখক : মুহতামিম, জামিয়ামদীনাতুলউলূমভাটারা, ঢাকা, খতীব, মালিবাগ বায়তুল আজীম শহীদী জামে মসজিদ, ঢাকা।

হুআ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ