শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে’ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আগামীর ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে: আজহারী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সভাপতি পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ‘কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে’ মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবি পড়াবেন ১৫ ইমাম সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন হবে : সিইসি স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির চীন সফরে যাচ্ছেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালেমা তাইয়্যেবা হচ্ছে ঐক্যের মূল সূত্র: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

ট্রাম্পের গাজা দখলের বিকল্প ভাবনায় রিয়াদে আরব নেতাদের বৈঠক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গাজার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন সাতটি আরব দেশের শীর্ষ নেতারা। গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল-খলিফা।

এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের ঘৃণ্য পরিকল্পনা, স্থায়ীভাবে গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা এবং গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ হিসেবে গড়ে তোলার অবিবেচ্য পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানানো।

আলোচনায় মিসরের নেতৃত্বে গাজার জন্য একটি নতুন ‘বিকল্প পুনর্গঠন পরিকল্পনার’ ওপর আলোকপাত করা হয়, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার প্রস্তাবের বিপরীতে একটি মানবিক ও স্থায়ী সমাধানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের পর সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এসপিএ) এক বিবৃতিতে এই আলোচনা সম্পর্কে জানায়, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটিতে অংশগ্রহণকারীরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে পরামর্শ করেন।

বিশেষ করে, গাজা সংকট মোকাবিলা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে যৌথ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এসপিএ বলেছে, এই বৈঠক মূলত একটি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, যা ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার বহন করে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, নেতারা আগামী ৪ মার্চ কায়রোতে নির্ধারিত জরুরি আরব শীর্ষ সম্মেলনকে স্বাগত জানিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, যদি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি টিকে থাকে, তবে এই সম্মেলনের পর মিসরের নেতৃত্বে গাজার পুনর্গঠনের প্রথম ধাপ শুরু হবে।

এই উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই নয়, বরং বহু মানুষের জীবনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা সত্যিই গাজাবাসীর মধ্যে এক নতুন আশার আলো সঞ্চার করবে। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ