শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২২ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
আওয়ার ইসলাম ঘুরে গেলেন ইংল্যান্ডের শায়েখ জাকারিয়া ও ম্যাসেজ টিভির পরিচালক রাখাল রাহা, সোহেল ও ধর্ষক আলেপের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ ফরায়েজী আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে অনুরোধ করবেন ধর্ম উপদেষ্টা রাসুলুল্লাহ ﷺ- এর অবমাননার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ খিলগাঁওয়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে, এমনটি নয়: ড. ইউনূস জামায়াতে ইসলামীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মুসলমানরা এখনও পরাধীন; আরেকটা বিপ্লব হবে: আব্বাসী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতদানকারী রাখাল রাহার বিচার করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

ইফা প্রকাশিত সাহরী-ইফতারের সময় নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই : মাওলানা আবদুল মালেক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত চলতি বছর রমজানুল মোবারকের সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির তালিকায় সতর্কতামূলক সময় বাদ দিয়ে সুবহে সাদিক ও সূর্যাস্তের মূল সময়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তালিকায় সাহরীর শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের মূল সময়ের তিন মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং সতর্কতামূলকভাবেই ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পর রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে সতর্কতামূলকভাবে সূর্যাস্তের মূল সময়ের সঙ্গে তিন মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে এক প্রশ্নের উত্তরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক বলেছেন, সাহরী ও ইফতারের সময় নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য প্রশ্ন ও উত্তরটি হুবুহু তুলে ধরা হল:


বরাবর,

হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক সাহেব দামাত বারাকাতুহুম আমীনুত তালীম, মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা

বিষয়: সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

হযরত!

আপনার দস্তখত সম্বলিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রচারিত পবিত্র মাহে রমযান ১৪৪৬ হিজরীর সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির একটি তালিকা দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে উল্লেখিত সময়সূচি ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরই প্রকাশিত বিগত বছরগুলোর সময়সূচি থেকে ভিন্ন।

প্রশ্ন হল, এই পার্থক্যটা কেন? এখন আমরা কোন্ সময়সূচি অনুযায়ী আমল করব? এ বিষয়ে নতুন প্রচারিত তালিকায় কোনো 'নোট'-ও উল্লেখ করা হয়নি। একারণে কিছুটা অস্থিরতাও তৈরি হচ্ছে।

সাহরী ও ইফতারের সময় নিয়ে উলামায়ে কেরামের মাঝে কি ইখতিলাফ আছে?

নিবেদক
তায়্যিব বিন তাজুল ইসলাম
ভালুকা, ময়মনসিংহ

بسم الله الرحمن الرحيم

উত্তর

الحمد لله، وسلام على عباده الذين اصطفى، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله، آخر الأنبياء وخاتم الرسل، لا رسول بعده ولا نبي صلى الله عليه وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد!

সাহরী ও ইফতারের সময়ের বিষয়ে ইমামগণের মধ্যে কোনো ইখতিলাফ নেই। সুবহে সাদিক হওয়ার মাধ্যমে সাহরীর সময় শেষ হয় এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। তেমনিভাবে সূর্যাস্তের দ্বারা ইফতার ও মাগরিবের নামাযের সময় শুরু হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিগত বছরগুলোর তালিকা থেকে এবারের তালিকার পার্থক্য মূলত এ কারণে যে, বিগত বছরগুলোর তালিকায় সাহরীর শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের মূল সময়ের তিন মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং সতর্কতামূলকভাবেই ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পর রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে সতর্কতামূলকভাবে সূর্যাস্তের মূল সময়ের সঙ্গে তিন মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় রাখা হয়েছে।

পক্ষান্তরে এ বছর সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির তালিকায় সতর্কতামূলক সময় বাদ দিয়ে সুবহে সাদিক ও সূর্যাস্তের মূল সময়টি উল্লেখ করা হয়েছে। আর এবারের সময়সূচিতে কোনো 'নোট' দেওয়া হয়নি- বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। বরং বিতরণের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সময়সূচিতে ফুটনোটে লেখা হয়েছে- 'এ সময়সূচিতে কোনো সতর্কতামূলক সময় রাখা হয়নি। কেউ চাইলে নিজ উদ্যোগে ২/১ মিনিট সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন।'

সুতরাং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত আগের সময়সূচি ও এবারের সময়সূচির মাঝে সাহরী ও ইফতারের মূল সময়ের দিক থেকে কোনো পার্থক্য নেই। কাজেই এতে পেরেশানির কিছু নেই। কেউ চাইলে আরো সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে; কোনো সমস্যা নেই। কারণ সতর্কতা অবলম্বন করতে কোনো আলেম নিষেধ করেন না। আবার কেউ যদি সুবহে সাদিকের মূল সময় পর্যন্ত সাহরী করে, এমনিভাবে বিলম্ব না করে সূর্যাস্তের মূল সময় হিসেবে ইফতার করে তাহলে এ ক্ষেত্রেও কোনো আলেম নিষেধ করেন না এবং এতে রোযার কোনো ক্ষতি হয় না। তবে নিজ নিজ ঘড়ির সময় একুরেট রাখার প্রতি যত্নবান হওয়া কর্তব্য।

উল্লেখ্য, রমযানুল মোবারকের পর কোনো এক সময় সারাদেশের আকাবির উলামা ও মুফতিয়ানে কেরামসহ সময়সূচি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ হবে ইনশাআল্লাহ।

আরযগুযার
عبد المالك

বান্দা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক
২০/০৮/১৪৪৬ হি.
২০/০২/২০২৫ ঈ.
বৃহস্পতিবার

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ