বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৮ মাঘ ১৪৩১ ।। ১৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
কওমি তরুণদের ভবিষ্যৎ: রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা তৌহিদী জনতাকে কটাক্ষ করে বিভাজনের রেখা টানবেন না:  শাইখুল হাদিস ইবনে শাইখুল হাদিস বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে জায়নবাদী প্রভাব রুখতে হবে: ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ১৯ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় ইসলামী মহা সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ১৪ ফেব্রুয়ারির অশ্লীলতা রোধে কচুয়ায় স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন বইমেলায় 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে : সাধারণ আলেম সমাজ মৌলভীবাজারে ইমাদদুদীন অ্যাকাডেমির টেলেন্ট সার্চ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত শাহপরানে ইনসান এইড’র বয়স্ক, বিধবা ওঅসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ রাষ্ট্র কাঠামোর ধ্বংসপ্রাপ্ত অঙ্গগুলো পুনর্গঠন করা হবে : আসিফ মাহমুদ

তৌহিদী জনতাকে কটাক্ষ করে বিভাজনের রেখা টানবেন না:  শাইখুল হাদিস ইবনে শাইখুল হাদিস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তৌহিদী জনতাকে কটাক্ষ করে বিভাজনের রেখা টানবেন না।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কাঁধে যে ভূত সওয়ার হয়েছিল সেই ভূত এখন বাংলাদেশের কারো কারো কাঁধে ভর করেছে। যারা তাওহিদী জনতাকে কটাক্ষ করে বিভাজনের রেখা টানতে চায়, তাদের জানা উচিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। ইসলাম আক্রান্ত হলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কারো কৃপায় অর্জিত হয়নি। এই বাংলাদেশ কোন বিশেষ শ্রেণির আন্দোলনের ফসল নয়। এই বাংলাদেশ আপামর জনতার দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। আমরা ১৯০ বছর সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। বিশ শতকের গোড়ার দিকে কলকাতার দাদাবাবুদের আধিপত্যবাদী হিন্দুত্ববাদকে খর্ব করেছি। একাত্তরের স্বৈরাচার পাক হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে এই বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি।

 আমাদের লাল সবুজের পতাকায় বারবার শকুনের ছোবল পড়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত একটি ভিনদেশী অপশক্তির ক্রীতদাসী হিসেবে লেডি ফেরাউন খ্যাত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের সকল রকম অধিকার বুটের তলায় পৃষ্ঠ করেছে। দেশটাকে খুনের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যখনই মানুষ নিজেদের অধিকার ও অভিপ্রায় বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে তখনই এদেশের মানুষের ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হাইজ্যাক করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার" ছাত্ররা তখন এই স্লোগানে সারাদেশ উত্তাল করে তোলে। আর এভাবেই হাসিনার বিভাজনের রাজনীতির কবর রচিত হয় ৫ই আগস্ট।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুনুল হক বলেন, আমার অবাক লাগে যখন দেখি আপনারা আবারও শেখ হাসিনার রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখেন। আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও অনেক নেতা নেত্রী আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন কিন্তু কেউই পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনা পালায় না বলে- পালিয়ে গেছে। মনে রাখবেন, হাসিনা শুধু নিজের ও পরিবারে চিন্তা করেছে। আপনাদের কিংবা আওয়ামী লীগের কথা দুবার ভাবেনি। ভেবেছে পুতুলের কথা। ভেবেছে ছেলে জয়ের কথা। ভেবেছে বোন রেহানার কথা।

 

হাসিনা জানতো পালাতে হবে। সেই জন্যই সুটকেসের পর সুটকেস গুছিয়ে হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়েছে। নিজে পালানোর আগে পরিবারের লোকদের পালিয়ে যেতে বলেছে। আর আপনাদের জনতার রোষানলে ফেলে গেছে। এ ধরনের কাপুরুষ নেতার অধীনে কোন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কর্মী রাজনীতি করতে পারে না।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।

জেলা আহ্বায়ক মুফতি ওয়ালি উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুব মজলিস সভাপতি জাহিদুজ্জামান, খেলাফত ছাত্র মজলিস সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল্লাহ নাটোরী প্রমুখ।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ