বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৮ মাঘ ১৪৩১ ।। ১৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
কওমি তরুণদের ভবিষ্যৎ: রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তা তৌহিদী জনতাকে কটাক্ষ করে বিভাজনের রেখা টানবেন না:  শাইখুল হাদিস ইবনে শাইখুল হাদিস বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে জায়নবাদী প্রভাব রুখতে হবে: ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ১৯ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় ইসলামী মহা সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ১৪ ফেব্রুয়ারির অশ্লীলতা রোধে কচুয়ায় স্কুলে স্কুলে ক্যাম্পেইন বইমেলায় 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে : সাধারণ আলেম সমাজ মৌলভীবাজারে ইমাদদুদীন অ্যাকাডেমির টেলেন্ট সার্চ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত শাহপরানে ইনসান এইড’র বয়স্ক, বিধবা ওঅসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ রাষ্ট্র কাঠামোর ধ্বংসপ্রাপ্ত অঙ্গগুলো পুনর্গঠন করা হবে : আসিফ মাহমুদ

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‌‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতার উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

রেইজার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সংস্কারগুলো জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে।’

রেইজার কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথকীকরণের আহ্বান জানান, যাতে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, ‘কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি একটি ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছেন, যা ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, ‘একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।’

রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়।

বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।

রেইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।  সত্র : বাসস। 

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ