বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ মাঘ ১৪৩১ ।। ২২ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের কারওয়ান বাজারে অবস্থান জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, সতর্কতা জারি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির উদ্যোগ টঙ্গীতে নিসিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, হাসপাতালে ৩ ডিবি পুলিশ সীমান্ত বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ মমতা ব্যানার্জীর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ শহীদ ইকবাল বিন ইয়াকুব রহ. ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ বাংলাদেশে এসেছেন দেওবন্দের উস্তাযুল হাদীস মুফতি মোহাম্মদ আফজাল কাইমুরী 

দেশের ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যান্সারের জীবাণু: গবেষণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশিরা যে পানি পান করছেন তার প্রায় অর্ধেক পানিতে বিপজ্জনকভাবে উচ্চ মাত্রার আর্সেনিক রয়েছে। পিএলওএস ওয়ান নামের জার্নালে গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৯ শতাংশ পানিতে বিপজ্জনক মাত্রায় ক্যান্সারের জীবাণু রয়েছে।খবর ইনডিপেনডেন্টের।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সংকটকে তুলে ধরে এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, নিয়মিত প্রবল বন্যা এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ু সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং মৌসুমী বন্যার কারণে আর্সেনিকের মাত্রা বাড়ে৷ যখন সমুদ্রের নোনা পানি মিষ্টি পানির সাথে মিশে গেলে পলি থেকে আর্সেনিক নির্গত হয়।

২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে যায়। বর্ষার তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের গড়ে ২১ শতাংশ অঞ্চলে বন্যায় প্লাবিত হয়।
গবেষকরা আর্সেনিক নিঃসরণের পেছনের গতিশীলতা বোঝার জন্য অক্সিজেনের ঘনত্ব, পিএইচ এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য সারা বাংলাদেশে কূপ থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত পানীয় জলের নিরাপদ সীমা প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ মাইক্রোগ্রাম। বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির প্রায় ৪৯ শতাংশে আর্সেনিকের ঘনত্ব  ওই সীমার বেশি। কিছু নমুনায় আর্সেনিকের ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি লিটারে প্রায় ৪৫০ মাইক্রোগ্রাম।

যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত মাত্রার ৪৫ গুণ।
গবেষণার লেখক এবং নরউইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেথ ফ্রিসবি বলেন, এই সংক্রমণ বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিবেশি দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও দেখা গেছে।

অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়ায় দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফের দারিদ্র্য নিরসনের জেষ্ঠ্য নীতি উপদেষ্টা জেমি উইলিয়ামস বলেন, 'বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই মৎস এলাকায় কীটনাশক প্রয়োগ করে দূষণের কারণে পানির সংকটে ভুগছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব, হিমালয় পর্বত ও এর পাদদেশের প্রধান নদীগুলো দ্বারা অধ্যুষিত সীমিত নিম্নভূমিতে সৃষ্ট নালাগুলো বাংলাদেশের জলবায়ুকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। অনেক মানুষ ভূমিহীন এবং বন্যাপ্রবণ জমিতে বসবাস ও চাষাবাদ করতে বাধ্য হচ্ছে। পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।'

গবেষকরা ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ রোধে জল পরিশোধন প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো নির্মাণসহ সম্ভাব্য সমাধানগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ