|| হাসান আল মাহমুদ ||
স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন আলেম-ওলামারা বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।
তিনি বলেছেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়েছিল দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে। একটি ভূখন্ড পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল ধর্মীয়ভাবে। অথচ, স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন আলেম-ওলামারা।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) বাদ জুমা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জাতীয় যুব কনভেনশনে এসব বলেন তিনি।
সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, যতগুলো হিন্দুদের বাড়ি অগ্নি সংযোগ হয়েছে, লুটপাট হয়েছে, সবই করেছে আওয়ামীলীগ। কিন্তু দায় চাপিয়েছে ইসলামিস্টদের উপর।
হিন্দু মহাজোটের মহসচিব আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দেখেছি আলেমওলামারাই সবচে বেশি হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। সেজন্য সমগ্র হিন্দু সমাজ আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী দিনে ইসলামী আন্দোলনসহ যারা বাংলাদেশে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ রয়েছেন, তাদের মাধ্যমে এই দেশ পরিচালিত হবে। তা হলেই বাংলাদেশে যেসব সংখ্যালঘু সমাজ আছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, যারা নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে গেছে, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন পছন্দ করছেন না, জনগণ তাদের সাথে নাই। আমি বলব, এখন বাংলাদেশের মানুষ সজাগ হয়ে গেছে। আপনারা জরিপ করে দেখেন, আপনারা হয়তো মনে করেন, আপনারা অনেক বড় ‘তালগাছ’ হয়ে গেছেন।
‘আসলে আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, মাটি কিন্তু সরে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ আর চাঁদাবাজদেরকে, জায়গা দখলকারীদেরকে, খুনিদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মুফতী সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, কে এম আতিকুর রহমান, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান।
কনভেনশনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারন সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, মোকামীয়া দরবারের পীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান প্রমুখ।
হাআমা/