বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৮ মাঘ ১৪৩১ ।। ২২ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের কারওয়ান বাজারে অবস্থান জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, সতর্কতা জারি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারির উদ্যোগ টঙ্গীতে নিসিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা, দুই লক্ষ টাকা জরিমানা আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার, হাসপাতালে ৩ ডিবি পুলিশ সীমান্ত বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ মমতা ব্যানার্জীর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ শহীদ ইকবাল বিন ইয়াকুব রহ. ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ বাংলাদেশে এসেছেন দেওবন্দের উস্তাযুল হাদীস মুফতি মোহাম্মদ আফজাল কাইমুরী 

সীমান্ত বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ মমতা ব্যানার্জীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেশ কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে বিরোধ চলছে ভারত ও বাংলাদেশের। এই বিরোধে না জড়ানোর জন্য পরামর্শ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের সধারণ মানুষের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মালদহের ইংরেজবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জনসাধারণের প্রতি এমন পরামর্শ দেন মমতা ব্যানার্জী।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলেন, যারা বাংলাদেশে গিয়ে আটকে গিয়েছিল, তাদেরকে দশ হাজার রুপি দেবো আগামী বছর থেকে।

এরপরেই মমতা ব্যানার্জি বলেন, মালদহের সঙ্গে বিহারের, ঝাড়খন্ডের ও বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। তাই প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনো গুন্ডা এসে গুন্ডাগিরি করতে না পারে।

আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। এ বিষয়ে মমতা বলেন, আরজি করের বিষয়ে আমি বলেছিলাম, আমরা ফাঁসি চাই। যারা এত পৈশাচিক অত্যাচার করে, যদি কেউ দানবিক হয়, পাশবিক হয়, তাহলে সমাজ কি করে মানবিক হবে?

তিনি আরও বলেন, আমরা অপরাজিতা বিলে, মৃত্যুদণ্ড রেখেছি। অ্যাসিডে যে মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয় তাতেও আমরা শাস্তি রেখেছি বিলে। সেই বিল এখনো পাস করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তারা ফেলে রেখে দিয়েছে। আমরা চাই এই বিল একটা মডেল হোক। যাবজ্জীবন মানে কী? অনেকে তো প্যারোলে বেরিয়ে যায়। তাই বলে অন্যায়কে ক্ষমা করে দেবো?

ওপার বাংলা (বাংলাদেশ) নিয়ে অভিযোগ করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, ওপার বাংলায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। ওটা দেখার দায়িত্ব বিএসএফের হাতে। যদি কোনো অন্যায় হয় আমরা দেখে নেবো। কিন্তু বিএসএফের সঙ্গে ওদের কোনো বিষয়ে আপনারা জরাবেন না।

মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, পুলিশকে বলব মাইকে ঘোষণা করে ভারতের লোকজনদের সেখান থেকে সরে আসতে বলুন। বাকিটা প্রশাসন দেখে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন হয়তো আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, কোনো সমাজবিরোধী বা জঙ্গি যাতে কারো বাড়ি বা হোটেল ভাড়া নিয়ে বাসা না বাঁধতে পারে । কোনো সমাজবিরোধীই যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে। তাহলে তা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যেরও ক্ষতি।

এমএন/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ