যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকে থাকবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী নন, যদিও শপথ গ্রহণের আগে এই চুক্তি নিশ্চিত করতে তার কূটনীতি কার্যকর হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার সময় একজন সাংবাদিক তার কাছে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখবে ও চুক্তি অগ্রসর হবে কি না, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী নই। ট্রাম্প আরো বলেন, ‘এটা আমাদের যুদ্ধ নয়, এটা তাদের যুদ্ধ। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী নই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধে হামাস ‘দুর্বল’ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি গাজার একটি ছবি দেখেছি। গাজা একটি বিশাল ধ্বংসস্থলের মতো।
সম্পত্তি টাইকুন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ট্রাম্প বলেছেন, পুনর্গঠন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজাকে দেখতে ‘অসাধারণ লাগবে’।
তিনি আরো বলেছেন, ‘গাজা সমুদ্রের কাছে একটি অভূতপূর্ব অবস্থান—কী চমৎকার আবহাওয়া। আপনি জানেন, এখানকার সব কিছুই ভালো। গাজা দেখতে এত সুন্দর যে এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু করা যেতে পারে।
ইসরায়েল ও হামাস জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। মূলত মে মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল এবং বাইডেন ও ট্রাম্পের দূতদের যৌথ কূটনীতির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চুক্তি এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চাপ দিলেও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তিনি ইসরায়েলকে অবিচল সমর্থন দিয়ে যাবেন। তার প্রথম কাজগুলোর মধ্যে তিনি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য বাইডেন প্রশাসনের আরোপিত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সন্দেহ তার পূর্বসূরি বাইডেনের তুলনায় ভিন্ন।
চুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে রবিবার বাইডেন বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী।’ বাইডেন আরো বলেছিলেন, হামাস পুনর্গঠিত হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
সোমবার শপথগ্রহণের ভাষণে ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তির দূত’ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে সমাবেশে তিনি গাজায় আটকে থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানান।
আরএইচ/