আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী বছরের (২০২৩ সাল) মার্চ থেকে নভেম্বরের মধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের কর্মযজ্ঞও পুরোদমে শুরু হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল; এ পাঁচ সিটির নির্বাচন আগামী বছরের নভেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। আইন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্য মার্চ থেকে মধ্য নভেম্বরের মধ্যেই ওইসব সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত কোনো করপোরেশনের প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরা হয়। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় সময় শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে একই বছর ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ওই বছর ১১ অক্টোবর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে একই বছর ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
খুলনা সিটির সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ১১ অক্টোবর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে একই বছর ১০ অক্টোবরের মধ্যে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় একই বছর ৭ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ওই বছর ৫ নভেম্বরের মধ্যে।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছর ১৪ নভেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১৪ মে। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে একই বছর ১৩ নভেম্বরের মধ্যে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আরও জানান, পাঁচ সিটি নির্বাচনের জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি রয়েছে। কমিশন নির্দেশনা দিলে নথি প্রস্তুত করতে তেমন সময় প্রয়োজন হবে না। তবে এখনো এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন হলে নভেম্বরের শুরুর দিকে আর আর ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হলে আগামী বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তফসিল দেওয়ার অন্তত কয়েক মাস আগে নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত রাখতে হবে ভোটার তালিকা ও নির্ধারণ করতে হবে ভোটকেন্দ্র।
-এসআর