বরিশাল ব্যুরো
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বাদ জোহর চরমোনাইর পীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় এ মাহফিল। চার দিনব্যাপী এ আধ্যাত্মিক মিলন মেলা শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।
ইতোমধ্যে মাহফিলের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরু থেকেই সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আগমন শুরু হয় মাহফিলে। আনুষ্ঠানিকভাবে মাহফিল বুধবার শুরু হলেও মঙ্গলবার সকালেই একটি মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চরমোনাইয়ে এসে পৌঁছে। তাদের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও খিদমতের দায়িত্বে আলাদাভাবে দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে।
মাহফিলে আগত ভক্ত-মুরিদানের চিকিৎসার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক টিমের মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে ইতোমধ্যেই। সার্বক্ষণিক ৩টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে মাহফিল হাসপাতালে।
মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় এ দিনে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে। ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে এ আধ্যাত্মিক মাহফিল।
অগ্রহায়ণ মাহফিলের জন্য নির্ধারিত দুইটি মাঠেই সামিয়ানা টানানো হয়েছে। একই সাথে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতি বছর বাংলা মাস হিসাব করে চরমোনাইয়ে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। এর মধ্যে অগ্রহায়ণ কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসের মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।