|| আমানুল্লাহ নাবিল ||
কাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৯তম মারকাজি ইজতেমা আগামী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জানা যায়, সকাল ৯ টা থেকে মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর মারকাজ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ি বড় মাদরাসা) প্রাঙ্গণে শুরু হবে দিনব্যাপী এই আয়োজন। চলবে রাত ১০ টা পর্যন্ত। ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের শীর্ষ উলামা মাশায়েখ।
দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ-এর সকল হালকার আমীর, নায়েবে আমীর, সর্বস্তরের ইমাম, মুয়াজ্জিন, উলামা-মাশায়েখ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ইজতেমায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য দাওয়াত করেছেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির, গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব, কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ অথরিটি আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সভাপতি ও যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মজলিসে দাওয়াতুল হকের দফতর সম্পাদক মাওলানা রিদওয়ান হাসান জানান, মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমায় সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো, বৃহৎ আলেম সমাজের উপস্থিতি। যে সমস্ত ওলামা হযরতের ওয়াজে বয়ানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়, তারাই এখানে শ্রোতা হয়ে থাকেন।
এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ি জামিয়ার ফুযালারাও দূরদূরান্ত থেকে আসেন। একেকজন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা, মুহতামিম, নাযেমে তালিমাত ও সাধারণ শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা ও সামাজিক খাদেমদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইজতেমা হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
ইজতেমার এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ির ফুযালাগণ স্ব স্ব উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ইতোমধ্যেই জামিয়ার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জামিয়ার পক্ষ থেকে আমি তাদের উদ্যোগকে মোবারকবাদ জানাই।
সেই সাথে এসব পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণকারী ফুযালাদেরকে আমার সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। ভবিষ্যতে জামিয়ার ফুযালাদের নিয়ে বিশেষ কোনো তরতিব করার লক্ষ্যে আমাদের এই রাবেতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া, ২৯তম মারকাজি ইজতেমায় আগত মেহমানদের অবস্থান নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাকিমুল উম্মাত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজের পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার জন্য ১৯৩৯ সালে মজলিসে দাওয়াতুল হকের সূচনা করেন। ১৯৯৩ সালের ২৪ এপ্রিল হাকিমুল উম্মাতের খলিফা মাওলানা আবরারুল হক হক্কী বাংলাদেশে আসেন। তখন তিনি দাওয়াতুল হকের ১৩টি হালকা গঠন করেন। প্রত্যেক হালকার জন্য একজন আমীর ও একজন নায়েবে আমীর নিধার্রণ করে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন। তারপর তিনি আল্লামা মাহমুদুল হাসানকে আমীরুল উমারা বা আমীরদের আমীর মনোনীত করেন। তখন থেকেই আল্লামা মাহমুদুল হাসানের তত্ত্ববধানে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
হাআমা/