বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের জোড় ও শেখবাড়ি জামিয়ার মহাসম্মেলন আগামীকাল  হুমকির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ইসলামি দলগুলোর উদ্বেগ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া আল্লাহকে রাজি-খুশি করতেই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে: চরমোনাই পীর সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার চরমোনাইয়ে চলছে আধ্যাত্মিক মিলন মেলা ঢাকায় চুরি হওয়া ১৩ মোবাইল নোয়াখালীতে উদ্ধার, যুবক গ্রেফতার চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফের জানাজা সম্পন্ন

মাত্রাছাড়া বায়ুদূষণে অস্বাস্থ্যকর ঢাকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বায়ূদূষণে এখন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে। দূষণে শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং তৃতীয় স্থানে আছে চীনের রাজধানী বেইজিং।

রোববার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-এ(একিউআই) ১৮৬টি দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার এই অবস্থান দেখা যায়। সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে বাতাসের মান পরীক্ষা করে এই ইনডেক্স প্রকাশ করা হয়।

ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অর্থাৎ একিউআই স্কোর হলো ১৮৬। স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর' ধরা হয়। ভারতের দিল্লি ও চীনের বেইজিং-এর একিউআই যথাক্রমে ২২৬ ও ১৭০।

বাংলাদেশসহ দিল্লি ও বেইজিং অস্বাস্থ্যকর শহরের শীর্ষে রয়েছে। এই তিন দেশের যা স্কোর তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়। যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে ‘পলিউশন অ্যান্ড হেলথ: আ প্রোগ্রেস আপডেট' শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় বিভিন্ন প্রকার দূষণজনিত কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে শুধু বায়ু দূষণের কারণেই সর্বাধিক এক লাখ ৭৩ হাজার ৫১৫ জনের মৃত্যু হয়।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ূ দূষণের কারণেপ্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ূ দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণ কাজের মাধ্যমে। গবেষণা বলছে, বায়ূ দূষণের জন্য নির্মাণখাত ৩০ শতাংশ দায়ী। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বায়ূ দূষণ হচ্ছে ইটভাটা ও শিল্পকারখানার মাধ্যমে। যার হার ২৯ শতাংশ। বায়ূ দূষণের তৃতীয় সর্বোচ্চ কারণ হলো যানবাহনের কালো ধোঁয়া, যার শতকরা হার ১৫ শতাংশ।

ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানের বায়ুমান নিয়ে গবেষণা করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বলেন," ঢাকায় উন্নয়নমূলক কাজই বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। আমরা বায়ু মান পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেছি বাতাসে ডাস্ট পার্টিক্যাল সবচেয়ে বেশি। এটা শীতকালে বেশি হয়। বর্ষাকালে কমে কারণ তখন বৃষ্টি হয়।”

তিনি জানান," ঢাকা শহরে নতুন নতুন বাড়িঘর নির্মাণ ছাড়াও সড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে উন্মুক্ত অবস্থায়। যা ধুলিকণা ব্যাপকভাবে বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। আর গাছপালা কম। আমাদের এইসব স্থাপনার কাজ উন্নত বিশ্বের মতো ঢেকে করতে হবে। আর প্রচুর গাছপালা লাগালে ধুলিকণা উড়তে পাববেনা।”

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ