|| হাসান আল মাহমুদ ||
দেশের সাম্প্রতিক ঘটনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হুমকির মুখে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামি দলগুলো। দলগুলোর মতে, তৃতীয় একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘৃণ্য উদ্যোগ নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানোর আহ্বান জানান দলগুলোর নেতৃবৃন্দ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চায়। ওই গোষ্ঠীর অপচেষ্টা অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
যে কোনো উসকানিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ এবং কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গায়ে পড়ে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দেশকে আকার্যকর করার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদের আশ্রয় ও জন্মদাতা ভিনদেশী শক্তি তাদের পোষা কুকুরদেরকে দিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এহেন পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে । অন্যদিকে তাদের উস্কানির পাতা ফাঁদ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। দেশবিরোধী চক্র চাচ্ছে রক্তের হোলি খেলা খেলতে। আমরা ধর্মপ্রাণ দেশপ্রেমিক জনগণকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের যে কোন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে দেশবাসীকে সচেতন থাকার এবং ধৈর্যের সাথে মোকাবেলার থাকার জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। ২৭ নভেম্বর পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তারা।
চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সংগঠনটির আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী ও মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইযহার এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আবহমান কাল ধরে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে। সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহীদের কোনো ধর্ম থাকে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। এ দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ধরে রাখার বিকল্প নেই।
তারা আরও বলেন, আমরা যার যার জায়গা থেকে নিজেরা সচেতন থাকি, অন্যদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানাই। পাশাপাশি সকল ধরণের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে বিরত রেখে প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। আল্লাহ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন।
হাআমা/