আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বহরে আধুনিক প্রজন্মের বিভিন্ন ধরনের ২১টি উড়োজাহাজ নিয়ে দেশের এভিয়েশন খাতের ইতিহাসে স্বর্ণালি সময় পার করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
তারপরও কাটছে না সংকট। লোকসান কাটিয়ে লাভে থাকার কথা বললেও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও পদ্মা অয়েলের কাছে তাদের বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭হাজার কোটি টাকা। এদিকে, কর্মীদের ভুলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উড়োজাহাজ।
বিমানবন্দর ব্যবহার, অ্যারোনটিক্যাল চার্জসহ বিভিন্ন খাতে বিমানের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাওনা ৪ হাজার ৪৫০কোটি টাকা। এরমধ্যে মূল বিল ৯৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৮ টাকা। সারচার্জ ৩,১৯২কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৫০০টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ২৭১ কোটি ৮৬ লাখ ৫০হাজার ২৯৯টাকা। আর জ্বালানী তেল কেনায় পদ্মা অয়েলের কাছে বিমানের বকেয়া ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা।
এদিকে, এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট নবায়নরে জন্য বেবিচক আগে পাওনা টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়। বকেয়া শোধ না করে মুচলেকা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। অথচ গত কয়েকবছর ধরে লাভের হিসাব দেখাচ্ছে সংস্থাটি।
কর্মীদের ভুলে উড়োজাহাজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। ২০১৯ এ ড্রিমলাইনার হংসবলাকার একটি দরজার র্যাফট খুলে যায়। এর আগে আকাশবীণার এক্সিট ডোরের র্যাফট খুলে পড়েছিলো। সম্প্রতি বিমানের হ্যাঙ্গারে ঢোকার সময় হ্যাঙ্গারে থাকা আরেকটি উড়োজাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটো উড়োজাহাজই। আর সেবার মান নিয়েও বার বার অভিযুক্ত বিমান।
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার ইতিবাচক ভাবমূর্তি আর আস্থা তৈরিতে বিমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করেন এমডি।
-এটি