আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রায় ছয় মাস পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ বৈঠকে বসছে কাল। এই সভায় ২২তম জাতীয় সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক শাখাগুলোর সম্মেলন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রস্তুতি ছাড়াও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
করোনা অতিমারির জন্য দীর্ঘ আড়াই বছর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতিতে কোন বৈঠকে হয়নি। করোনার প্রকোপ কমে আসায় প্রায় আড়াই বছর পর ক্ষমতাশীন দলের সকল কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠকে হচ্ছে। গণভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি, মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক শাখাগুলোর সম্মেলন, দেশ- বিদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, দেশ বিরোধীদের অপতৎপরতা মোকাবেলার কৌশল, আগামী জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও সাংগঠনিক একাধিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা কীভাবে সামনে এগুতে পারি, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের বিষয়ে কী কী করণীয় সে সকল বিষয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেবেন।
দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্য যে নির্দেশনা দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেই পরামর্শের আলোকে আমাদের কাজ কতটুকু এগিয়েছে সেবিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করতে হবে এই সভায়।
বৈঠকে অংশ নিতে নিজ নিজ দায়িত্ব পাওয়া কাজের খতিয়ান নিয়েও তৈরী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, সবেই অনেকগুলো নির্বাচন গেল, সেই নির্বাচনে আমাদের সফলতার পাশাপাশি কিছু জটিলতা ছিল। সেসব বিষয় নিয়েই হয়তো এই বৈঠক আলোচনা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বর্তমানের রাজনৈতিক অবস্থা বা দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র এবং অপরাজনীতির বেড়াজাল তৈরি করার যে অপচষ্টা, সেগুলো আমরা রাজনৈতিকভাবে কীভাবে মোকাবেলা করতে পারি সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গত বছরের ১৯ নভেম্বর সর্বশেষ সীমিত পরিসের আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-এটি