আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় শনিবার (২৩ এপ্রিল)। টিকিট বিক্রির রোববার (২৪ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিন।
আজ ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে ২৮ এপ্রিলের টিকিট। দ্বিতীয় দিন টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনও আরও দীর্ঘ হয়েছে। আর বহুল আকাঙিক্ষত টিকিট পেতে টিকিটপ্রত্যাশীরা লাইনে এসে দাঁড়াচ্ছেন ইফতার-সেহ্রির পর থেকেই।
কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারগুলোতে সরজমিনে ঘুরে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে, কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। টিকিট কাটতে কেউ এসেছেন শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারি খেয়ে আবার কেউ এসেছেন সেহ্রি খেয়েই।
সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। স্টেশনটিতে টিকিট কাউন্টার আছে ২৩টি। সেগুলো মধ্যে ১৬টি কাউন্টারে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
কাউন্টারে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটতে পারছেন। তবে এর জন্য প্রত্যেকটি যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিতে হচ্ছে। আর এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিটি ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য একটি করে আলাদা কোচ সংযোজন করা হচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এবারে ঈদ উপলক্ষে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চলবে। এগুলো হচ্ছে, চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া এবং খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। তবে এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না বলেও জানানো হয়।
এর আগে ঈদের মৌসুমে বিভিন্ন সময় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি রোধ করতেই এবারে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি দেখানোর বিষটিতে এতো জোর দেওয়া হয়েছে। ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ মোট পাঁচটি স্থানে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
-এটি