আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কমলাপুর রেল স্টেশনে গন্তব্যের টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ রাত দুইটার সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাননি তারা। এজন্য কাউন্টার থেকে বেরিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে টিকিট না পাওয়া যাত্রীদের।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। যারা অনেকেই গতকাল শুক্রবার থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ ভোর রাতে এসেছেন টিকিট পাওয়ার আশায়। বেলা ১২টা বাজতেই প্রায় সব ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়। কাউন্টার থেকে বের হয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় কিছু বিক্ষুদ্ধ টিকিট প্রত্যাশীরা স্টেশন ম্যানেজারের রুমে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে সময় কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার রুমে না থাকায় সেখানে কর্মরত একজনের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেন আনসার সদস্যরা।
বিক্ষুব্ধ টিকিট প্রত্যাশীরা জানান, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাননি। একটা কাউন্টার থেকে মাত্র ৬০-৭০টা টিকিট দেওয়ার পর কীভাবে শেষ হয়ে যায়! বাকি টিকেট কোথায় গেলো?
সেখানে বিক্ষুদ্ধ আরেক যাত্রী বলেন, রাত দুইটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। মাত্র একশ জনের মতো টিকিট পেয়েছে। বাকি টিকিট গেল কোথায়।
অন্য এক টিকিট প্রত্যাশী বলেন, রাতের ঘুম বাদ দিয়ে অফিস কামাই করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কি লাভ হলো। আমাদের এ সময়ের মূল্য কে দেবে?
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। ইন্টারনেটেও ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়।
এবার যাত্রীদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শন করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারছেন। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।
এনটি