বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের জোড় ও শেখবাড়ি জামিয়ার মহাসম্মেলন আগামীকাল  হুমকির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ইসলামি দলগুলোর উদ্বেগ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া আল্লাহকে রাজি-খুশি করতেই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে: চরমোনাই পীর সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার চরমোনাইয়ে চলছে আধ্যাত্মিক মিলন মেলা ঢাকায় চুরি হওয়া ১৩ মোবাইল নোয়াখালীতে উদ্ধার, যুবক গ্রেফতার চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফের জানাজা সম্পন্ন

ডিআইজি মিজানের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঘুষ লেনদেনের মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে হাইকোর্টের দেওয়া দুই মাসের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) আপিল বিভাগে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ মিজানুর রহমানকে জামিন দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। মিজানুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

এর আগে খালাস চেয়ে মিজানুর রহমানের করা আপিল ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় দেন।

রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৮ বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫ (এ) ধারায় ৩ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাছিরের দুটি দণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে তাকে পাঁচ বছর দণ্ড ভোগ করতে হবে। তবে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় উভয়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও একই ধরনের অভিযোগে দণ্ডিত হওয়ায় এ ধারায় কাউকেই সাজা দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি মিজানুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। অপরদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বাছিরের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের একই কর্মকর্তা।

গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর তিনি মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন। গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ