আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কান্নাভেজা কণ্ঠের আমিন আমিন ধ্বনির মধ্য দিয়ে ভেঙে গেল আল্লাহপ্রেমিকের মিলনমেলা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হল ঐতিহাসিক চরমোনাই’র বিশেষ তালিম তারবিয়াত, মাহফিল ও হালকায়ে জিকির।
আজ (১৭ এপ্রিল) রোববার বরিশাল মহানগরী থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে কীর্তনখোলা নদীতীরের চরমোনাই ময়দান ও এর সন্নিহিত এলাকায় তখন লোকে লোকারণ্য। জোহর নামাজবাদ উপস্থিত হাজার হাজার ইসলামী জনতার উদ্দেশে সং¶িপ্ত বয়ান শেষে আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই প্রায় ২২ মিনিট ধরে এ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এ সময় তিনি উপস্থিত মুরিদানসহ সকল মুমিন মুসলমান ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে ফিলিস্তিন ও ভারতে নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বুকভাসানো কান্নায় মহান আল্লাহরাব্বুল আলামিনের দরবারে পানাহ চেয়ে রহমত কামনা করেন।
চরমোনাই পীর সাথে হাজার হাজার মুসল্লির বুকফাটা কান্না ও আহাজারিতে গোটা চরমোনাই এলাকাজুড়ে এ ভিন্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি মানুষই যেন তাওবা ও অনুতাপের অশ্রু দিয়ে মুছে ফেলেন বিগত জীবনের পাপ-পঙ্কিলতার সব কালিমা।
গত ৩ এপ্রিল শুরু হওয়া ১৫ দিনব্যাপী মাহফিলে আখেরি মোনাজাতের আগে পীর সাহেব তার মুরিদান ও অনুসারীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামুলক বয়ানে বলেন, শুধু জানা নয়; মানার নাম ইসলাম।
এ মাহফিলে বিভিন্ন আলেম-উলামার জবান থেকে আমরা যা কিছু শুনলাম জানলাম, সে অনুযায়ী আমরা যদি বাস্তব জীবনের আমল করতে পারি, তবেই কেবল সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে এখানের অবস্থান সার্থক হবে। তিনি সবাইকে শিরক ও বিদআত থেকে মুক্ত থেকে সমাজের ভন্ডপীর এবং বাতিল পন্থীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকারও নসিহত করেন।
পীর সাহেব বলেন, বিশুদ্ধ ঈমান-আমলের মাধ্যমে আখেরাতে জাহান্নাম থেকে নাজাতের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে। কোন পীর কারো জান্নাতের জামিন হতে পারেন না। তিনি শরীয়তের ওপর মজবুত থেকে জান্নাতের উপযুক্ত হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তারবিয়াত মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীরুল মজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা সৈয়দ মুমতাজুল করীম মোশতাক, মাওলানা জিয়াউল করীম, মুফতী এছহাক মু. আবুল খায়ের চেয়ারম্যান, মুফতী সৈয়দ নুরুল করীমসহ দরবারের খলিফাগণ।
-এটি