আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মানবিক করিডোর দিয়ে বেরুতে শুরু করেছে ইউক্রেনের অবরুদ্ধ শহরের নাগরিকরা। এরআগে যুদ্ধের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে ইউক্রেনের পাঁচটি শহরে মানবিক করিডোর চালুর ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
ইউক্রেনের পাঁচটি শহরে রাশিয়ার মানবিক করিডোর খুলে দেয়ার ঘোষণার পরই মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমি ও ইরপিন দিয়ে মারিও পোল বেসামরিক নাগরিকরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। গত কযেকদিনে এ অঞ্চলে প্রচণ্ড লড়াই চলছিল।
এর আগে সোমবার কিয়েভ, চেরনিহিভ, সুমি, খারকিভ ও মারিওপোলের বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যেতে 'মানবিক করিডোর' খুলতে একমত হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন। বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ শহরগুলোতে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে। ১২ ঘণ্টার এ যুদ্ধ বিরতিতে শহরের বাস স্টেশন সীমান্ত এলাকাগুলোতে বাড়ছে শরণার্থীদের ভিড়।
এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নতুন সতর্কতা দিয়েছে। বলেছে, ইউক্রেন থেকে নানা দেশে যে শরণার্থীর ঢল নামছে দ্বিতীয় দফায় তা আরও ভয়াবহ ও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, এমন যুদ্ধ চলতে থাকলে আমরা আরও বাস্তুহারা মানুষ জনকে দেখতে পাবো। এই শরণার্থীর ঢল ইউরোপের পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। তাই সবার আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় আবারও নিজেদের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ জানান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এরআগে নিজ কার্যালয় থেকে অপর এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তিনি লুকাননি। কিয়েভেই আছেন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, সবাই যার যার জায়গায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা পিছু হটবো না। মানবিক করিডর নিয়ে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া কি তা মেনেছে?
যেপথ দিয়ে মারিওপোলের বাসিন্দা ও শিশুদের জন্য জরুরি সহায়তা আসে, সেখানে স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে তারা।
ইউক্রেনিয়দের উদ্ধার করতে আসা বাসে হামলা চালিয়েছে। তাদের দখল করা এলাকায় ছোট একটি করিডর চালু করে অল্প কিছু মানুষকে সরে যেতে দিয়েছে।
যুদ্ধের ১৩তম দিন, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সুমি শহরে শিশুসহ ২১ বেসামরিক নাগরিক নিহতের খবর দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইউক্রেনের হাসপাতালগুলোর।
ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে দেশটিতে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় সে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
-এটি