আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুসলিম শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলো জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন দুই মুসলিম ছাত্রীকে তাদের হিজাব খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল মিউনিখ ইউনিভার্সিটি।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এরপরেই ওই বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ খবর দিয়েছে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।
খবরে জানানো হয়, ক্ষমা চেয়ে একটি টুইট করেছে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়। নকল করছে সন্দেহে যে শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তাদের কাছে ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা’ চাওয়া হয় ওই টুইটে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, হিজাবকে অন্য সব পোশাকের সাথে তুলনা করলে হবে না, এটিকে আলাদা করে দেখতে হবে।
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এরপর থেকে পরীক্ষার সময় দায়িত্বরত সুপারভাইজারকে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান প্রদর্শনের নির্দেশনা দেয়া হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমা চাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হিজাব খুলতে বাধ্য হওয়া এক শিক্ষার্থী। তবে ক্ষমা চাইতে দেরি করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন তিনি।
তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন তাদেরকে সমান চোখে না দেখবে এবং বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না করবে ততদিন মুসলিম শিক্ষার্থীরা লড়াই করে যাবে। যতদিন আমরা ন্যায়বিচার পাচ্ছিনা, আমরা থামবো না।’
জার্মানির সংবিধানে সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা আছে। তারপরেও দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রে মুসলিম নারীরা প্রায়ই তাদের হিজাবের জন্য বাঁধার মুখে পরেন।
আনাদলুর রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে ইসলামভীতি বেড়েই চলেছে। আর এর পেছনে রয়েছে নাৎসি আদর্শে গড়ে ওঠা কিছু উগ্র ডানপন্থী দল। অথচ পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের পরেই সবথেকে বেশি মুসলিম বাস করেন জার্মানিতে। দেশটিতে প্রায় ৫৩ লাখ মুসলিম বসবাস করেন, যার ৩০ লাখের বেশিই তুর্কি বংশোদ্ভূত। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
-এটি