মুযযামম্মিল হক উমায়ের।।
একজন বৃদ্ধ লোক লাঠিতে ভর করে যাতে কেউ দেখে না ফেলে অতি চুপিসারে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমি গাদ্দারি করেছি। খারাপ কাজ করেছি। আমার সমস্ত চাহিদাকে পূর্ণ করেছি। (এমন কোন গুনাহের কাজ নেই যা আমি করিনি) সুতরাং আমার জন্য কী তওবা করার সুযোগ আছে? (আল্লাহ তায়ালা কী আমাকেও মাফ করবেন? এখন তো আমার মুখে দাঁতও নেই)
আল্লামা শেখ সাদি রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বলেছেন, ‘বার্ধক্যের সময় অত্যাচারি সিংহও পরহেজগার সেঁজে যায়’।
প্রিয় ভাইয়েরা!
তখন আমার ও তোমাদের নবী, হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার তওবার কারণে আল্লাহ তায়ালা তোমার সারা জীবনের গুনাহসমূহ মাফ করে দিয়েছেন’।
এই কথা শুনে বৃদ্ধ লোকটির মনে সংশয় সৃষ্টি হয়ে যায়; আমার এ—তো এ—তো অপরাধও কী তাহলে তিনি মাফ করে দিয়েছেন? সেই সংশয় থেকেই তিনি আবার হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জানতে চান; তাহলে কী আমার সমস্ত গাদ্দারি ও গুনাহগুলিও তিনি মাফ করে দিয়েছেন?
উত্তরে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হ্যাঁ, তোমার জীবনের সমস্ত গাদ্দারি ও গুনাহসমূহও তিনি মাফ করে দিয়েছেন’।
এবারও বৃদ্ধ লোকটির বিশ্বাস হয়নি। তাই তিনি আবার বলতে শুরু করেন; সত্যিই কী আমার সারা জীবনের গুনাহ ও গাদ্দারিগুলিও তিনি মাফ করে দিয়েছেন?
এবারও উত্তরে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে আশ^স্ত করেন যে, ‘হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা তোমার সারা জীবনের গুনাহ ও গাদ্দারিগুলিও মাফ করে দিয়েছেন’।
এরপরও বৃদ্ধ লোকটি অস্থির হয়ে বললো, সত্যিই কী আমার সারা জীবনের গুনাহ ও গাদ্দারিগুলিও তিনি মাফ করে দিয়েছেন?
এবারও উত্তরে হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা তোমার সারা জীবনের গুনাহ ও গাদ্দারিগুলিও মাফ করে দিয়েছেন’।
হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একই উত্তর কয়েকবার শোনার পর বৃদ্ধ লোকটি অত্যন্ত খুশিতে বলতে শুরু করলো, ‘আহ! আহ! হে আমার মাওলা! আমার তো জানাই ছিলো না যে, তুমি এ—তো বেশি দয়াবান—দয়াশীল! তুমি এ—তো দানশীল!
সূত্র: মাওলানা তারিক জামিল সাহেবের বয়ানের অনুবাদ
-এটি