আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারকাজ চলছে। তবে, বলিষ্ঠ তথ্য প্রমাণের অভাবেই বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইসিসি'র প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি। আইন-আদালত আছে, থাকবে।
ন্যায় প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে তা সহায়ক কিন্তু, যথেষ্ট নয়। বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি'র প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি।
তিনি মনে করেন, যেতে হবে সমস্যার শেকড়ে, সেখান থেকেই সবাই মিলে সমাধান করতে হবে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরের পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও আইসিসির তাগিদে, প্রসিকিউটর করিমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করে, কথা বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। সফরের পর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে করিম, কার্যকরি সমাধানের ইঙ্গিত দেন।
আইসিসি'র প্রসিকিউটর করিম এ এ খান কিউসি বলেন, সংকট সমাধানে বা ন্যায় বিচার নিশ্চিতে অনেকেই সুন্দর সুন্দর নীতিবাক্য শোনাচ্ছেন, যা যথেষ্ট নয়। একইসঙ্গে বলতে চাই, আইন-আদালত আছে, থাকবে। ন্যায্যতা নিশ্চিতে এটা সহায়ক তবে যথেষ্ট নয়। যেতে হবে সমস্যার শেকড়ে, সেখান থেকেই সবাই মিলে সমাধান করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে, রোহিঙ্গাদের সাথে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া দেরি হবার কারণ তুলে ধরেন করিম এ এ খান কিউসি।
বলেন, আমাদের কাজ খুব স্পর্শকাতর এবং চ্যালেঞ্জিং। আদালতে ভাসা ভাসা কিছু তথ্য উপস্থাপন করলেই তো হবে না। সবল তথ্য প্রমাণ ছাড়া আদালতের মুখোমুখি হবার কোনও মানে হয় না। তাছাড়া করোনার কারণে অনেক কাজ পিছিয়ে আছে। কিন্তু, আমরা আন্তরিক।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে করিম জানান, দায়ীদের শাস্তি কী হবে, তা সময়ই বলবে। তবে আইন অনুযায়ী অপরাধীরা যথাযথ শাস্তিই পাবে।
-এটি