আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসের হেগে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। ২০১৯ সালে এর শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন অং সান সু চি। তবে সোমবার থাকছেন না তিনি। তার বদলে থাকবেন বর্তমান জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তা মন্ত্রী।
জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মামলার আরেক শুনানিতে অংশ নিচ্ছে মিয়ানমার। এবার তারা বলার চেষ্টা করবে, এই মামলা পরিচালনার এখতিয়ার আইসিজের নেই।
প্রতিবেদনের আরও বলা হয়, মিয়ানমারের পক্ষে এবার অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক সহায়তা মন্ত্রী কো কো লায়িং ও অ্যাটর্নি জেনারেল থিদা। তারা শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। অভ্যুত্থানের পর এই দুজনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় গাম্বিয়াকে সহায়তা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। সেই সময় এক যৌথ বিবৃতিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, দুই দেশ এখন ‘গণহত্যা সংক্রান্ত অপরাধ থামাতে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে’ জেনোসাইড কনভেনশন পর্যালোচনা করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসঙ্ঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিবাদ মেটাতে আইসিজে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এই আদালতের রায় মানা বাধ্যতামূলক, তবে এটা কার্যকর করার মতো বাস্তব ব্যবস্থা আদালতের নেই।
২০১৭ সালে মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ৫৭ জাতির জোট ‘অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন’ ওআইসি মামলাটি করতে গাম্বিয়াকে সহায়তা করেছিল।
হেগ শহরের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলার প্রথম শুনানি হয়েছিল। এতে নেতৃত্বে ছিলেন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবু বকর মারি তামবাদু এবং মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন অং সান সুচি। শুনানিতে অংশ নিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের পক্ষ নিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। সেই কর্মকর্তারাই গতবছর অভ্যুত্থানের পর সু চিকে গৃহবন্দী করেন।
এনটি