আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক বোমা বানানোর খায়েশ আছে, এমন অভিযোগকে উদ্ভট বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বৃহস্পতিবার যখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে, তখন এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি পুনরুদ্ধারে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান।
তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিল ওই চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে করা চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্লান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) হিসেবে পরিচিত।
কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর ওই চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০-এর নির্বাচনে নির্বাচিত হলে চুক্তি পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দেন জো বাইডেন। তারই ধারাবাহিকতায় চলছে আলোচনা।
এ বিষয়ে ইরানের প্রধান সমঝোতাকারী আলি বাঘেরি টুইটে বলেছেন, আমরা বুধবার একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। এর কয়েক ঘন্টা আগে ফ্রান্স সতর্ক করে যে, একটি চুক্তিতে পৌঁছার জন্য ইরানের হাতে মাত্র কয়েকটি দিন সময় আছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে ভাষণ দেন খামেনি। তিনি বলেন, ইরানকে আগামীর ভাবনা ভাবতে হয়।
যত তাড়াতাড়িই হোক বা পরে হোক আমরা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তির জরুরি প্রয়োজনীয়তার দিকে অগ্রসর হবো। তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন কিভাবে শত্রুজোট আমাদের পারমাণবিক ইস্যুতে নিষ্ঠুরের মতো চাপ প্রয়োগ করছে। তারা আমাদের পারমাণবিক শক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যদিও তারা জানে যে- তা শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য।
তারা বলে- কিছু সময়ের মধ্যে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে। এটা তাদের উদ্ভট কথা। এর কোনো অর্থ হয় না। এ বিষয়টি তারা ভালভাবে জানে। তারা জানে আমরা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে যাচ্ছি না। আমাদের পারমাণবিক শক্তি হলো শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্য। ইরানি জাতিকে উল্লেখযোগ্য এই অগ্রগতি অর্জনে বাধা দিচ্ছে তারা।
-এটি