আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) বলেছে যে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং বর্তমানে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, সংঘাত বাড়ার সাথে সাথে সংস্থাটি শরণার্থীদের সহায়তা বাড়িয়েছে।
সল্টমার্শ বলেন, "সংঘর্ষ ও সশস্ত্র সংঘাত ক্রমবর্ধমান হওয়ায় মিয়ানমার জুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে এবং এই সংঘাত হ্রাসের কোনো লক্ষণ নেই।"
জাতিসংঘ একটি বিবৃতিতে উঠে এসেছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মোট প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর আগে, ৩ লাখ ৭০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধারণ করা হচ্ছে আগামী কয়েক মাসে এর প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৪৮ হাজার রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুতিকে ইচ্ছাকৃত গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে এবং সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য, চাকরি হারানো এবং আয়, মৌলিক পরিষেবার ব্যাঘাত এবং দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তাহীনতার সাথে অস্থিতিশীল বিরাজ করছে।