আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার উপসর্গ আছে, এমন পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে ফাইজারের টিকা প্রায় ৯১ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে ফাইজার-বায়োএনটেক।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুই হাজার ২৬৮ শিশুর ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া এক নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। পূর্ণবয়স্কদের ৩০ মাইক্রোগ্রাম টিকা দেওয়া হলেও ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী শিশুদের ১০ মাইক্রোগ্রামের ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফাইজার-বায়োএনটেকের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো দুই হাজার শিশুর মধ্যে বাছ-বিচার ছাড়াই কাউকে টিকা দেওয়া হয়েছে, আবার কাউকে সান্ত্বনা ওষুধ 'প্লাসেবো' দেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাসেবো পাওয়া ১৬ জন শিশু আর টিকা পাওয়া শিশুদের মধ্যে মাত্র তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর ওই শিশুদের শরীরে ৯০ দশমিক ৭ শতাংশ অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
আগামী মঙ্গলবার পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদানের অনুমোদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। অনুমোদন পেলে শিগগিরই দেশটির পাঁচ থেকে ১১ বছয় বয়সী দুই কোটি ৮০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক।
এদিকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন যাদের বয়স ৬৫ বা তার বেশি, স্বাস্থ্যগত জটিলতা রয়েছে ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন, তারা এখন বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।
এক্ষেত্রে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার বুস্টার ডোজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।
-এএ