বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নির্বাচন কমিশন একটি পুতুল কমিশনে পরিণত হয়েছে: চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার ও জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমূখ।

তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি পুতুল কমিশনে পরিণত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বক্তব্য ‘কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসলো না আসলো সেখানে নির্বাচন কমিশনের কোন ভুমিকা নেই’।

এধরণের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কেবল মাজাভাঙ্গা কমিশনই এমন বক্তব্য দিতে পারে। সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনমুখি করা সেইসাথে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই ইসির দায়িত্ব।

তিনি বলেন, দেশ ক্রমেই ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই কেবল অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করে তুলতে পারে।

সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, কুমিল্লাসহ সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য সরকার কোনভাবেই দায় এড়াতে পারবে না। সরকারের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া এ ধরণের হামলা ও ভাঙচুর কয়েক দিন ধরে চলতে পারে না। এসব ঘটনায় জড়িত লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। তাদের কাজই হলো যে কোনো সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের পরিকল্পনার আগাম তথ্য সংগ্রহ করা। ঘটনার পর এখন সরকার অসাম্প্রদায়িক সেজে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। এই সরকার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সরকার একদিকে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটতে দিয়ে দেখাতে চায়, দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই তাদের দমনের নামে, ভোটারবিহীন ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর