আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীসহ ৯ জেলায় এ পর্যন্ত ২৪টি মামলা হয়েছে।
এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, নোয়াখালীর চৌমুহনিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
গত মঙ্গলবার কুমিল্লায় ভাঙচুরের ঘটনার পর দেশের কয়েকটি জেলায় ঘটে হামল ও ভাঙচুরের আরও ঘটনা। শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিনও অনেক জায়গায় হামলা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও নোয়াখালী ও চট্টগ্রামেও ঘটে ভাঙচুররে ঘটনা।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকররম মসজিদ ও আশেপাশে মিছিল সমাবেশ করা হয়। বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, 'মামলা নেওয়া হয়েছে, এ পর্যন্ত দুই-তিনটা মামলা নিয়েছি। যারা ধরা পড়েছে তারাই আছে। আমরা ভিডিও দেখছি, ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।'
চৌমুহনীতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। দলটির হুইপ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, এই ঘটনাটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। লন্ডনে বসে থাকা কথিত প্রধানমন্ত্রীর বিগড়ে যাওয়া সন্তান তার পরিকল্পনায় দেশে ধর্মব্যবসায়ী চক্র এই অপকর্ম করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে।
পুলিশ বলছে, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ ও নোয়াখালির চৌমুহনীর ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা মনে করি যিনি ক্ষতিগ্রস্ত তার পক্ষ থেকে মামলা হলে ভালো হবে। অভিযোগ যাবে মামলা হবে, যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সব কটিকে কেন্দ্র করে মামলা হবে।
এছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়া, কুড়িগ্রামের উলিপুরে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, সিরাজগঞ্জে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার পাশপাশি বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
-এটি