বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অ্যাওয়ার্ড পেলেন করোনার টিকা উদ্ভাবনকারী তুর্কি বংশোদ্ভূ মুসলিম দম্পতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম সফল টিকা উদ্ভাবক তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম জার্মান দম্পতি উগুর শাহিন ও ওজলেম তুরেসি গ্রিসের একটি মর্যাদাকর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুই বিজ্ঞানীকে গ্রিসের ‘ইমপ্রেস থিওফানো প্রাইজ’ দেয়া হয় বলে খবর দিয়েছে তুরস্কের পত্রিকা হুরিয়াত।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গ্রিক প্রেসিডেন্ট ক্যাটেরিনা সাকারানাপুলু বলেন, ‘বিখ্যাত বিজ্ঞানী দম্পতিকে ইমপ্রেস থিওফানো প্রাইজ দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। জীবন ও বিজ্ঞানকে তারা এক সাথে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানবতার সেবায় শাহিন ও তুরেসির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তারা এবং তাদের দলের সবাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। আমরা তাদের বিশ্বাস, নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও শক্তিকে পুরস্কৃত করেছি।’

এর আগে শাহিন ও তুরেসি দম্পতিকে টিকা আবিষ্কারের জন্য জার্মানির সর্বোচ্চ অর্ডার অব মেরিট সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয়। জার্মান প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন বেলভাই প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়ার। সেখানে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল উপস্থিত থেকে এ দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

২০০৮ সালে শাহিন ও তুরেসি নিজস্ব ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি বায়ো-এনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। জার্মানির প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের সাথে মিলে ‘ফাইজার-বায়োএনটেক’ নামে করোনার প্রথম টিকা আবিষ্কার করে।

তুরস্ক থেকে জার্মানিতে ১৯৬০-এর দশকে আসা অভিবাসী পরিবারে শাহিন ও তুরেসি জন্ম নেন। চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে ক্যানসার চিকিৎসা, আণবিক জীববিদ্যা ও টিকা প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় একত্রে সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন তারা।

শাহিন ও তুরেসি বুধবার গ্রিক শহর থেসালোনিকির আতাতুর্ক হাউসে যান। সেখানে সংরক্ষিত বইয়ে তারা লিখেছেন, ‘তুর্কি বংশোদ্ভূত হয়ে এ পুরস্কার পাওয়া খুবই গর্বের। আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক মুক্ত চিন্তাধারা ও বিজ্ঞানের মৌলিক গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। আমরা তার সাথে একমত। বিজ্ঞানই জীবনের একমাত্র সঠিক পথপ্রদর্শক।’

শাহিন ও তুরেসি দম্পতির ফাইজার টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। অত্যাধুনিক এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে তারা এ টিকা আবিষ্কার করেন।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ