আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হজ। এটি ফরজ ইবাদাতগুলোর অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক।
এখন হজ করতে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে পৌঁছান বিমানে। আছে এর ব্যতিক্রমও। দিনাজপুরের মহিউদ্দিনও এমনই একজন হাজী।
হজ করার উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে সুদূর সৌদি আরবে পৌঁছান তিনি। সোমবার ইন্তেকাল করেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে জানিয়েছেন পায়ে হেঁটে হজে যাওয়ার সেই গল্প।
হাজী মহিউদ্দিনের সেই স্বাক্ষাৎকার- হাজী মহিউদ্দিন জানান, ‘বাসা থেকে প্রথমে ঢাকায় যাই, তারপর পতেঙ্গা। পতেঙ্গা থেকে জাহাজে সিংহল (শ্রীলঙ্কা) হয়ে পাকিস্তান যাই। এরপর একে একে আফগানিস্তান, ইরান, কুয়েত, ইরাক, জর্দান, মিশরসহ মোট ৩০ দেশ ঘুরে সৌদি আরব পৌঁছাই। সেখানে মক্কা হয়ে সর্বশেষে দেখা পেলাম মদিনার। মদিনায় পৌঁছে তিনমাস খাদেমের পদধূলি নিয়েছি। খাদেমের নাম ছিল ইসমাইল।
১১৫ বছর বয়সী এই হাজি বলেন, সবাই বিমানে না যেয়ে হেঁটে হজ করলে বহু দেশ দেখতে পারবেন। ইরাক ও ইরানে চলে গাধার পাল। এই হাজীদের সাথে গল্প-গুজব করতে পারবেন। তাদের পদধূলি নিতে পারবেন।
এতে আশা করি বহু নেকি পাওয়া যাবে। ধান চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যায়, বিষয়টি ঠিক তেমনি। জমি না চাষ করলে যেমন ধান পাওয়া যাবে না, ঠিক তেমনই হজ।
-এটি