আওয়ার ইসলাম: শুধু বিক্ষোভকারী নয়, সাধারণ মানুষদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে মিয়ানমারের পুলিশ। এ অভিযোগ তুলে দেশটির মানবাধিকার সংস্থা বলছে, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরাও।
প্রায় ২ মাসের বিক্ষোভ সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চারশো। এর মধ্যে, শুধু শনিবারই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। নৃশংস এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ১২ দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান।
গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সাক্ষী হচ্ছে মিয়ানমার। হামলার হুমকি উপেক্ষা করে রাস্তায় নামা বিক্ষোভকারীদের ওপর শনিবারও নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। ঘরে থেকেও রেহাই পাননি অনেকে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অনেক শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, পাখির মত মানুষ মারছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। মোবাইলে ধারণকৃত এসব ভিডিও ফুটেজও সাক্ষী দেয়, নিরস্ত্রদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
মিয়ানমারে জান্তা সরকার গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ দেশটির মানবাধিকার সংস্থারও। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল এখনও কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় অসন্তুষ্ট তারা।
মানবাধিকার কর্মী তিন মাউং তোয়ে জানান, মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা প্রতিরোধ না গণহত্যা। আর কত প্রাণ ঝড়লে জাতিসংঘ কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেবে? বিশ্ব নেতাদের বলতে চাই, কেবল আশ্বাসের বাণী আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়। বিবৃতি, শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করবেন না। মিয়ানমারের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিন।
শুরু থেকেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মহল। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের ঘটনায় স্তম্ভিত তারা। দিনটি মিয়ানমারের ইতিহাসের অন্যতম কালো দিন হিসেবে খোদাই হয়ে থাকবে বলে মত ইউরোপিয় ইউনিয়নের। জাতিসংঘ ছাড়াও প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য।
-এটি