বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ মানুষ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে: মুফতি রুহুল আমিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মিছিলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুলি চালিয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মানুষের হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অনতিবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।

আজ রোববার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও জলকামান ইত্যাদির ব্যবহার দেখা গেছে। কিন্তু ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্দোলনরত মাদরাসার মুসল্লিদের ওপর গুলি করে নির্মমভাবে মাদরাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলামনদের হত্যা করা হয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবসে এভাবে কোনো দেশের মানুষ হত্যা করার নজির নেই। এমন ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

মুফতি রুহুল আমীন এ ঘটনাকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে তার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বলেন, এ ঘটনায় প্রমাণ হয় সরকার, প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে ঘাপটি মেরে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা সরকার, দেশের আলেম-উলামা এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে কৌশলে মুখোমুখি দাঁড়করিয়ে ঘোলা পানিতে স্বার্থ হাসিল করতে চায়। বিষয়টি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র কিনা- তা সরকারকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে।

বিবৃতিতে মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, ঢাকাসহ সাড়াদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হেলমেট পরে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

মুফতি রুহুল আমীন বিবৃতিতে বলেন, চলমান আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তারা শহীদ। তিনি তাদের শহীদের উচ্চ মাকাম এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় সরকারকে বহন করার আহ্বান জানান।

মুফতি রুহুল আমীন হাইয়াতুল উলইয়ার সকল পরীক্ষার্থীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে শীর্ষ মুরব্বীদের প্রতি আস্থা রেখে শান্ত থেকে নিজেদের পড়া-লেখার প্রতি যত্নবান হয়ে পরীক্ষার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ ও যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর