আওয়ার ইসলাম: মিসরের সুয়েজ খালে কনটেইনারবাহী জাহাজ আটকে পড়ার ৫ দিন পরও আশার খবর শোনাতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। এতে বিশ্ববাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটিতে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে, বলছে মিসর। এদিকে, পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমের দেশগুলোতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গেলো মঙ্গলবার হঠাৎ প্রবল বাতাস আর ধূলিঝড়ে মিসরের সুয়েজ খাল অতিক্রমের সময় আটকে পড়ে কনটেইনারবাহী জাহাজ এভারগ্রিন। বালু-মাটি তুলে ও জাহাজটি খালি করে সরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এতে সুয়েজ খালে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে লাগতে পারে কয়েক সপ্তাহ।
এদিকে, এই নৌপথ বন্ধের প্রভাব পড়ছে বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে। করোনার কারণে আগে থেকেই ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে আমদানি-রপ্তানি। এবার জাহাজ-জটে দেখা দিয়েছে কনটেইনার সংকট। আফ্রিকার নৌপথ ঘুরে চলাচলে বেড়েছে খরচ। নৌজটের কারণে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি মিসরের।
সরবরাহ ঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পূর্বের দেশগুলোর ব্যবসা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, ব্রেক্সিটের কারণে আগে থেকেই যুক্তরাজ্যের বাজারে সংকট, এর মধ্যে সুয়েজ খালে জাহাজ-জটে তা আরও বাড়ছে। পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় দ্বিগুণ মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির তেল বিপণন বিভাগের প্রধান তরিল বোসোনি জানান, আমাদের আশঙ্কা, তেলের বাজারের চেয়ে তেলবাহী জাহাজের সংকটই বেশি হবে। দীর্ঘ সময় জাহাজগুলো আটকে থাকায় এবং অন্য পথে ঘুরে আসায় সময় লাগছে বেশি। এতে জাহাজের ভাড়া ও বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্যের ১২ শতাংশই পরিবহন করা হয় সুয়েজ খাল দিয়ে। এই নৌপথে চলাচলে এশিয়া ও ইউরোপের দূরত্ব অনেক কমে যায়। এতে পণ্য পরিবহনে খরচও তুলনামূলক কম।
-এটি