বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের জোড় ও শেখবাড়ি জামিয়ার মহাসম্মেলন আগামীকাল  হুমকির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ইসলামি দলগুলোর উদ্বেগ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া আল্লাহকে রাজি-খুশি করতেই চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা হয়েছে: চরমোনাই পীর সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় দুই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার চরমোনাইয়ে চলছে আধ্যাত্মিক মিলন মেলা ঢাকায় চুরি হওয়া ১৩ মোবাইল নোয়াখালীতে উদ্ধার, যুবক গ্রেফতার চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফের জানাজা সম্পন্ন

ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার হুমকি কাদের মির্জার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ হুমকি দেন।

কাদের মির্জা উল্লেখ করেন, আমি বিশস্তসূত্রে খবর পেয়েছি। গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে জোর করে সিএমএইচ নিয়ে গেছে। অনুরূপ কিছু করার জন্য, আজকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ওবায়দুল কাদের সাহেব ওনার স্ত্রীর প্ররোচনায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দেশবাসীকে জানিয়ে যাচ্ছি।

এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটলে আমি আত্মহত্যা করব। আমার ওপর যদি ঘটাতে চায় তাহলে আমি বলে দিচ্ছি আত্মহত্যা করব। আমি কোন অসত্যের কাছে মাথা নত করবো না।

তিনি বলেন, কি করবেন? মেরে ফেলবেন, জেলে দিবেন, লাঞ্চিত করবেন, আর কি বাকি আছে। দুই হাজার গুলি একতরফা আমার পৌরসভাতে আমার বিরুদ্ধে করেছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার লেলিয়ে দেওয়া ফেনীর কুত্তা নিজাম হাজারী, নোয়াখালীর কুত্তা একরাম চৌধুরী, বাদলইল্যা কুত্তার নেতৃত্বে এখানকার সমস্ত জাসদ, জাসদের যারা আমার ভাই কামালকে হত্যা করেছে, আমার ভাই জামালকে গুলি করেছে, আমার মামা এমদাদ সাহেবকে গুলি করেছে, আমাদের নুরনবী মাস্টারকে গুলি করেছে।

তাদের নিয়ে দুই হাজার গুলি আমার পৌরসভাতে একতরফা করেছে। আর মামলা করেছেন একটা থানা থেকে করা হয়েছে পুলিশ এসল্ট মামলা। সে মামলার আসামিও আমার দলের কর্মী। এ পর্যন্ত যতগুলো মামলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে হয়েছে, আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়েছে।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, আজকে আমার সাথে আল্লাহ আর আমার দলের কিছু ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং েসাধারণ মানুষ ছাড়া কেউ নেই। আমার সত্য বচনের পর আস্তে আস্তে অনেকেই আমার কাছ থেকে সরে গেছে। এজন্য আমি আতঙ্কিত নই, আমি আরও উজ্জীবিত হচ্ছি। আজকে যারা অপরাজনীতির সাথে জড়িত। যারা এখানে টেন্ডারবাজি করেছে, যারা গরিব, নিরীহ ও ভূমিহীনদের সম্পত্তি দখল করেছে। সরকারি খাল দখল করেছে। এরা আজকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমি এখানকার নেতা, যিনি ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর কৌশলী হিসেবে কাজ করেছে। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর একটা স্বাধীন দেশে যে সংবিধান রচিত হয়েছে। সে সংবিধান প্রণয়নের সাথে জড়িত ছিলো। যে মানুষটি বলেছে, শেখ মুজিবুর রহমান যদি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর ফিরে না আসতো তাহলে ভারতীয় মিত্র বাহিনী কখনো ভারতে ফিরে যেত না। তিনি বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয় ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। সে মানুষটি মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যুর পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা এটা আমার মনে হয় আল্লাহও অসন্তুষ্ট হবে।

সে কাজটি কে বা কারা করেছে প্রশাসনের মাধ্যমে আপনারা খবর নিবেন। এ সংস্কৃতি যদি বাংলাদেশে চলতে থাকে, তাহলে কি বঙ্গবন্ধু এ জন্য স্বাধীনতা দিয়েছে। আমার প্রশ্ন? অপরাজনীতি, দুর্নীতি, ভোট চুরি এগুলোর জন্য কি বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনেছে। কথা বলতে হবে সবাইকে, শুরু হয়েছে, তরুণদের মধ্যে আজকে চেতনা সৃষ্টি হয়েছে। আমি যে ষড়যন্ত্রের কথা বলেছি, সে দিন থেকে মওদুদ সাহেবের শোকসভা করার সিন্ধান্ত নিয়েছি, সেটা বন্ধ করেছে। সে দিন থেকে পুলিশি তাণ্ডব এখানে চলছে। আমাকে চর্তুদিক আজকে ঘেরাও করে রেখেছে।

কাদের মির্জা বলেন, দুর্ভাগ্য আসলে আমাকে কেউ পছন্দ করছে না, আমি সত্য কথা বলাতে, এটাই হচ্ছে আসল কথা। কি করবেন করেন যা করার করবেন দেরি করছেন কেন। ওবায়দুল কাদের এবং তার স্ত্রী বলে দিয়েছেন প্রশাসনকে তার সাথে যেন চতুর্দিকে একটা লোক না থাকে, সে ব্যবস্থা করো। সে ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আমার ছেলেদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, গালিগালাজ করছে তারপর জেলে ঢুকিয়ে দিবে পুলিশের ভয় দেখাচ্ছে। পুলিশ গিয়ে তদন্তের নামে টাকা নিচ্ছে।

এটা কি দেশ, আইন কোথায় গিয়েছে। আজকে কি বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা নেই। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আজকে কোথায়। এটা আমি প্রশ্ন করতে চাই। বাদলইল্যা পোলারে গ্রেফতার করছে এটা হল আইওয়াশ ওবায়দুল কাদেরের। গত পরশুদিন আকরাম চৌধুরী আর টেন্ডারবাজ জেহান কারাগারে গিয়ে বাদলের সাথে দেখা করে আমার হত্যার নতুন ছক নির্মাণ করেছে। গতকালকে এটা কার্যকরী করার জন্য নোয়াখালীর মেরুদণ্ডহীন সেলিম জাসদের খিজির হায়াত আর জমায়াত দুর্নীতিবাজ মামুন একটা আছে রংমালা মাদরাসার প্রিন্সিপাল।

তিনি বলেন, আহারে বাদলইল্যার লোক গেলে তাদেরকে ভিআইপি দিয়ে ঢুকায়। আমার দশটা ছেলে জেলে তাদের আত্মীয়-স্বজন গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে ফেরত আসে। এক দেশে দুই আইন, প্রশাসন নিরব। যে যার অবস্থানে নিরব। আগে ডিআইজি সাব আমার ফোন ধরত। গতকালকে আমার মোবাইল আর ধরে না। আমি কেন মওদুদ আহমদের প্রোগ্রাম করলাম, শোকসভা করলাম, এটা অপরাধ হয়ে গেছে। হাইরে রাজনীতি। কেউ কেউ বলেন, কেউ যদি অধম হয় আমরা কেন উত্তম হইব না।

সরম যদি লাগেগো ঘোমটা দিয়ে হাঁটো। আমি কাউকে ভয় করি না, কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না, প্রশাসন আপনাদের আছে ব্যবহার করতে পারবেন। সাংবাদিক আপনাদের সাথে আছে। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মতো সাংবাদিক আজকে নেই। যদি থাকত তাহলে সত্য কথা লিখত। আপনাদের প্ররোচনায় সাংবাদিক আজকের সত্য কথা লেখা থেকে বিরত আছে। যেটা হলো সত্য। সাংবাদিক সবাই কেন যেন আজকের চুপ করে গেছে। এই অবস্থা আমার ওপর চলছে। এই কথাগুলো আজকে আমাকে না বললে নয়। এটা আমাকে বলতে হচ্ছে। এদেশের মানুষের কাছে বিচার দেবো, আল্লাহর কাছে বিচার দেবো।

বিচার করার কেউ নেই সবাই কে আমি চিনি। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত যারা অপরাজনীতির হোতা আজকে সব পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোন সৎ নেতা, কোন ত্যাগী নেতা আজকে আওয়ামী লীগের হয়তো, নগণ্য জায়গায় থাকতে পারে অধিকাংশ জায়গায় এই অপরাজনীতির সাথে যারা জড়িত তারা নেতৃত্বে আছে। আমাকে ভেঙে ফেলতে পারবেন কিন্তু আমি মচকাবো না। কত অস্ত্র ব্যবহার করবেন। আমি বৃষ্টির কাছে কাঁদতে শিখেছি আমাকে কাঁদানোর ভয় দেখিয়ে কোন লাভ নেই।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ