আওয়ার ইসলাম: দেশে সাম্প্রদায়িক চেতনার বিস্তার রোধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, ধর্মের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে কঠোর নজরদারি করার দায়িত্বও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই নিতে হবে।
আজ (২২ মার্চ, সোমবার) দুপুর ৩.০০ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ ইসলামের প্রচার প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে জাতির চরম সংকটময় মূহুর্তে আলেম সমাজের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ, আলেম সমাজকে আর্থিক সহায়তা প্রেরণ, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা, করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের যাকাতের অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সর্বমহলে প্রশংসা পেয়েছে এবং দেশবাসীর কাছে আরো নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাদের সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বের সাথে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিচ্যুতি ঘটে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিটি পদক্ষেপই অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে আমরা সকলে মিলে আরো অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাব- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী,মো: শাহজাহান সিদ্দিকী (বীর বিক্রম), মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক ফারুক আহম্মেদ (যুগ্মসচিব), প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক মোঃ নজিবুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের শেখ (উপ-সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনটি