মাহমুদুল হাসান
চরমোনাই ময়দান থেকে>
বিশ্বের অন্যতম তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম জমায়েত চরমোনাই’র ফাল্গুনের ৩ দিনব্যাপী বাৎসরিক মাহফিল শুরু হয়েছে আজ (২৪ ফেব্রুয়ারী) বুধবার। জোহরের নামাজের পর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মধ্যদিয়ে মাহফিল শুরু হয়।
চরমোনাই ময়দানে আগত লাখো মুসল্লীদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা ও বয়ান শোনার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
ময়দানের সবচেয়ে প্রশংসনীয় উদ্যেগগুলো হলো বয়ান চলাকালীন সময়ে হাটা চলা একদম নিষেধ করা হয়ে থাকে। দায়িত্বশীল মোজাহিদরা কঠোরভাবে এই বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বয়ানের সময় রান্নাবান্না করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন আগত মুসল্লিরা। আগত মুসল্লিরা চরমোনাই মাহফিল কর্তৃপক্ষ নিয়মকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে থাকেন।
এ কারনে চরমোনাই মাহফিল অন্য বড় বড় মজমা থেকে ব্যতিক্রমী বলা চলে।
এর আগে আজ বুধবার জোহরের পর চরমোনাই মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ানে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নিয়তকে ঠিক করতে হবে। এখানে (চরমোনাই ময়দানে) কেউ দুনিয়াবী নিয়তে এসে থাকলে তার কোনো ফায়দা হবে না। বরং এখানে উপস্থিত হওয়ার দ্বারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই উদ্দেশ্য হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘চরমোনাইকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেছেন। এজন্য হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ আল্লাহ ভোলা বান্দাদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জুড়িয়ে দিয়েছে চরমোনাই মাহফিল। চরমোনাই মাহফিল থেকে মানুষ হেদায়াত পেয়েছে।’
যারা চরমোনাইয়ের বিরোধিতা করে তাদের উদ্দেশে চরমোনাই পীর বলেন, ‘আপনারা চরমোনাই এসে দেখে যান, এ ময়দানে কিসের আলোচনা হয়? এখানে কুরআন সুন্নাহর আলোচনা হয়। যারা চরমোনাই আসেন তারা আত্মার খোরাক লাভ করেন। দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ এখানে হাসিল হবে না। দুনিয়ার মামলা-মুকাদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চরমোনাই ময়দান নয়। বরং আখেরাতের পুঁজি লাভের ময়দান হলো চরমোনাই।’
জানা গেছে, মাহফিলের ৩দিনে মোট ৭টি বয়ান হবে। এর মাঝে ৫টি বয়ান করবেন চরমোনাইয়ের প্রধান পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আর ২টি বয়ান করবেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। এছাড়াও মাহফিলে আগত বিদেশী উলামায় কেরামগণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করবেন বলে।
-এটি