আওয়ার ইসলাম: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
খালেদার পক্ষে আদালতে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর খালেদাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই দণ্ড দেয়া হয় তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ আরও তিনজনকে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর দেয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিএনপি প্রধান। পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন জমা দেন। ৩০ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে।
একই সাথে মামলার নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রেরণের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত বলে, নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদন শোনা হবে। দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই ২০ জুন নথি হাইকোর্টে আসে। এ অবস্থায় রবিবার খালেদার জামিন আবেদন শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয় এবং বুধবার তা শুনানি শেষে খারিজ করে দেয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। অরফানেজের মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি।
পরে হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
-এটি