আওয়ার ইসলাম: সরকার নির্ধারিত মূলের চেয়ে ডেঙ্গু টেস্ট ফি বেশি নেয়ায় রাজধানীর ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু টেস্টে অতিরিক্ত ফি আদায় ও ওষুধের দাম বেশি নেয়ার অভিযোগে ল্যাবএইড, ইবনে সিনা ও স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে অধিদফতর।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সোমবার বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান ও আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি ফি নেয়া হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান সংস্থাটির উপ-পরিচালক মঞ্জুর মুহাম্মদ শাহরিয়ার।
সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন টেস্টের ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ৫০০ টাকায় ডেঙ্গু টেস্ট নেয় ১২০০ টাকা। অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই টেস্ট ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে ১৫০০ টাকা। ইবনে সিনাও বেশি ফি নিচ্ছে। অন্যদিকে স্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসার ওষুধের দাম বেশি নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অধিদফতরে ডাকা হয়েছে। কাল এ বিষয়ে শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে রোববার রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মোকাবিলায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা’ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গুর চিকিৎসার ফি নির্ধারণ করে দেয়। সরকার নির্ধারিত ফি অনুযায়ী, ডেঙ্গু টেস্টের (ডেঙ্গু Ns1 পরীক্ষা) ফি ৫০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না। যার পূর্ব মূল্য ছিল ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা। IgM + IgE অথবা IgM/IgE- ৫০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা। CBC (RBC + WBC + Platelet + Hematocrit)- ৪০০ টাকা (সর্বোচ্চ), যার পূর্ব মূল্য ছিল ১০০০ টাকা।
রোববার (২৮ জুলাই) থেকে কার্যকর হওয়া এ মূল তালিকা পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
-এএ