আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবীর স্বাধীন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২২ ঘন্টারও কম সময়ে বিল এসেছে এক লাখ ৮৬ হাজার ৪৭৪ টাকা।
এত টাকা বিল আসার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
গতকাল রোববার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। আজ বিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিনেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ও ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়ে থাকে। ফিরোজের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে। এ কারণেই আপাতদৃষ্টিতে অল্প সময়ে বিলের পরিমাণ বেশি বলে মনে হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ফিরোজ কবিরকে অচেতন ও লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় স্কয়ারে নিয়ে আসা হয়। তার মুখ, নাক ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছিল। সেখানে ভর্তির সময়ই তাকে চিকিৎসকরা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম, সেপটিক শক, একিউট কিডনি ইনজুরির রোগী বলে শনাক্ত করে। তাকে এজন্য লাইফ সাপোর্টের সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিতে হয়েচ্ছিল।
এছাড়াও তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী সকল ব্যবস্থা এবং ওষুধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ফিরোজের স্বজনেরা বিভিন্ন অজুহাতে মোট বিলের মাত্র ৫৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন বলে দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান।
-এএ