বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


যুক্তরাজ্যের বৈধ বাসিন্দা হচ্ছেন লক্ষাধিক অনথিভুক্ত বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি অভিবাসী সেখানে বসবাসের বৈধতা পেতে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হকের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, অনথিভুক্ত অভিবাসীর বৈধতার প্রশ্নে তার সরকার নীতিগতভাবে আন্তরিক।

লন্ডনের মেয়র থাকাকালে জনসন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বুধবার পার্লামেন্টে জনসনের আগের আহ্বানের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে এমপি রুপা হক তার উদ্দেশে বলেন, এখন তো আপনি প্রধানমন্ত্রী, এখন কি অনথিভুক্তদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে আপনি প্রমাণ করবেন, আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল রয়েছে?

জবাবে বরিস জনসন বলেন, এটা সত্যি। আমি সরকারে থাকাবস্থায় বিষয়টি কয়েকবার উত্থাপন করেছি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অনথিভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার আগে বিষয়টি দেখা উচিত। তার সরকার নীতিগতভাবে বিষয়টি নিয়ে আন্তরিক বলেও দাবি করেন তিনি।

বরিস জনসন বলেন, যারা কোনো অপরাধে না জড়িয়ে বছরের পর বছর এখানে বসবাস করছেন, আমার মনে হয় আইনিভাবে তারা সঠিক অবস্থানেই আছেন। তাদের অনেক জটিলতা রয়েছে। যেমনটা আমরা দেখেছি উইন্ডরাশের ঘটনায়। আমি রুপা হকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে চাই। হ্যাঁ, আমি মনে করি, যারা এ দেশে বছরের পর বছর কোনো অপরাধে না জড়িয়ে বসবাস করছে, কাজ করছে, কিন্তু ট্যাক্স দিতে পারছে না, তাদের বিষয়টি দেখা উচিত। সত্যি বলতে, আইন ইতিমধ্যেই তাদের থাকার অধিকার দিয়েছে।

লন্ডনের হ্যামলেটস সলিসিটরসের সিনিয়র পার্টনার বিপ্লব কুমার পোদ্দার বলেন, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের সাধারণ ক্ষমার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বক্তব্য খুব আশাব্যঞ্জক। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, তাতে মনে হয়েছে দ্রুতই সমাধান বা সুখবর মিলতে পারে। এতে বছরের পর বছর ধরে এখানে বসবাসরত এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, সেখানে এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি আছেন, যারা বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বাস করছেন। ২০০৯ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালে জনসন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ